ফুটপাত দখলমুক্ত করতে আইসি ও ট্রাফিক ওসিকে নিয়ে রাস্তায় নামলেন বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের চকভৃগুতে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সাথে একটি আলোচনা সেরেই এলাকা পরিদর্শন করেন চেয়ারম্যান। যেখানে পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা, বালুরঘাট ট্রাফিক ওসি বীথি সুন্দর সাহা ও তিনটি ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলররা।
জানাগেছে, বালুরঘাটের সাথে তপন ও গঙ্গারামপুরের যোগাযোগের জন্য চকভৃগুর ওই একমাত্র রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয়, রেলস্টেশনে যাবার ক্ষেত্রেও ওই একটি মাত্র রাস্তার উপরেই ভরসা করতে হয় গোটা বালুরঘাট শহরের মানুষকে। কিন্তু সেই রাস্তার দু’পাশে দোকানপাট ও যত্রতত্র ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়ায় চলাচলের প্রধান রাস্তাটি ক্রমশ সংকীর্ণ হয়ে উঠেছে। যা উপলব্ধি করেই শহরের ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে একটি আলোচনা সারেন বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র। তিনটি ওয়ার্ডের সংযোগকারী সেই প্রধান রাস্তাটি চওড়া করবার পাশাপাশি রাস্তার দু’পাশে লাইট ও ডিভাইডার নির্মাণ করবার যাবতীয় উদ্যোগ নেয় বালুরঘাট পুরসভা। শহরকে সুসজ্জিত করবার সেই ভাবনা থেকেই ওইদিন সন্ধ্যায় বালুরঘাট থানার আইসি ও ট্রাফিক ওসিকে নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করেন চেয়ারম্যান। যেখানেই যানজট মুক্ত চকভৃগু তৈরি করতে ফুটপাত দখলমুক্ত করবার বিষয় উঠে আসে। শুধু তাই নয়, ট্রাফিক সিগনালিং সিস্টেমের অন্তর্ভুক্ত করবার বিষয়ও আলোচিত হয়েছে এদিন। চকভৃগুকে ঘিরে পুরসভার তরফে নেওয়া যেসব উদ্যোগকেই এদিন স্বাদুবাদ জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা রাকেশ চন্দ্র দাস বলেন, যানজট মুক্ত চকভৃগু গড়তে পুরসভার তরফে নেওয়া একাধিক উদ্যোগ যথেষ্টই প্রশংসনীয়।
বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, শুধুমাত্র তপন নয়, রেল স্টেশনের সঙ্গে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষের যোগাযোগের জন্য এই রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যা শুধুমাত্র নতুনভাবে নির্মাণ করায় নয়, ফুটপাত দখলমুক্ত করে রাস্তাটি চওড়া, ডিভাইডার ও রাস্তার দু’পাশে লাইট লাগিয়ে নতুনভাবে এই তিনটি ওয়ার্ডকে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে পুরসভা।