রামমন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালা বা শিশু রামের মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়ে গিয়েছে সোমবারই। তবে সে দিন প্রধানমন্ত্রী এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকলেও সাধারণের প্রবেশাধিকার ছিল না। মঙ্গলবার সকালে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হল মন্দিরের দরজা। তবে তার অনেক আগে থেকেই রামলালাকে চাক্ষুস করতে মন্দির চত্বরে ভক্তদের লম্বা লাইন পড়ে যায়।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর একটি ভিডিয়োয় দেখা যায়, ভোর ৩টের সময় বিপুল সংখ্যক ভক্ত মন্দিরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। ভিড় সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে নিরাপত্তা আধিকারিকদের। কে আগে মন্দিরে ঢুকবেন, তা-ই নিয়ে ভক্তদের একাংশের মধ্যে রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। হাতে পুজোর সামগ্রী নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় অনেককে। অনেকে হাতে পতাকা নিয়ে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে দিতে মন্দির চত্বরে প্রবেশ করেন।
মন্দির উন্নয়ন এবং দেখভালের দায়িত্বে থাকা শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, সকাল ৭টা থেকে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রামমন্দির খোলা থাকবে। মাঝে তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর মন্দির ফের খুলবে দুপুর ২টোয়। আবার সন্ধ্যা ৭টায় বন্ধ হবে মন্দিরের দরজা।
সোমবার দুপুর ১২টা ২৯ মিনিটে ‘শুভ মুহূর্তে’ রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়। একাধিক ধর্মীয় নিয়মবিধি মেনে গর্ভগৃহে রামলালার পুজো করেন ‘প্রধান যজমান’ নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিরা এবং দেশের নানা স্থানের সাধুসন্তরা।