এবার গড়ফা এলাকার বাড়িতে তরুণীর রহস্যমৃত্যু ঘটেছে। সেখানে তাঁর প্রেমিক এসেছিল। আর সে বেরিয়ে যাওয়ার পরই উদ্ধার হয় প্রেমিকার মৃতদেহ। তরুণী প্রেমিকার দেহ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ইতিমধ্যেই প্রেমিকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন তরুণীর পরিবার। তদন্তে নেমেছে গড়ফা থানার পুলিশ। তবে প্রেমিক এখনও পলাতক।
ঠিক কী ঘটেছে গড়ফায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, হাবড়ার পঙ্কজ দাসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তরুণীর। বাড়িতে আসা–যাওয়াও ছিল। রবিবার দুপুরেও তরুণীর বাড়িতে প্রেমিক পঙ্কজ হাজির হয়েছিল। তবে দুপুরে সেই ঘরের দরজা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। অনেকটা সময় কাটার পর প্রেমিক কখন বেরিয়ে যায় তা কেউ বুঝতে পারেনি। পরে ঘরে ঢুকে পরিবারের সদস্যরা দেখতে পান, তরুণী বিছানায় অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
তদন্তে পুলিশ কী জানতে পেরেছে? পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত তরুণীর নাম সুস্মিতা দাস (২৬)। হাবড়ার বাসিন্দা পঙ্কজ দাসের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল। রবিবার বেলা ১২টা নাগাদ তরুণীর বাড়িতে আসে প্রেমিক পঙ্কজ। দুপুরে সেখানে খাওয়াদাওয়া করে। একই ঘরে গোটা দুপুর কাটিয়েছিল প্রেমিক–প্রেমিকা। বিকেল থেকে আর দেখা মেলেনি প্রেমিকের। পরিবারের সদস্যরা তরুণীকে অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পান। ঠোঁটের উপর কালো দাগ ছিল। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
পরিবারের ঠিক কী অভিযোগ? পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মেয়ের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন বাবা–মা। খুনের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনার পর থেকে প্রেমিক পঙ্কজ পলাতক। বালিশ চাপা দিয়ে মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ। সামনেই তাদের বিয়ে হবার কথা ছিল। অন্য কাউকে ভাল লাগায় খুন করা হয়েছে মেয়ে সুস্মিতাকে বলে অভিযোগ পরিবারের।