ক্রুজ ড্রাগ কাণ্ডে আরিয়ান খান ষড়যন্ত্র করেছেন, প্রাথমিকভাবে তেমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। এখনও পর্যন্ত এমন কোনও তথ্যপ্রমাণ হাতে আসেনি যার ফলে আদালত নিশ্চিত হওয়া যায় যে কোনও মাদক ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল আরিয়ান খান, শনিবার শাহরুখ পুত্রের জামিনের বিস্তারিত রায়ের প্রতিলিপি-তে এ কথাই জানিয়েছে বম্বে হাই কোর্ট। তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সুর চড়াচ্ছেন আরিয়ান সমর্থকরা।
শুরু থেকেই আরিয়ান খান মামলায় সোচ্চার পরিচালক সঞ্জয় গুপ্তা। কেবলমাত্র শাহরুখ খানের ছেলে হওয়ার খেসারত দিয়ে হয়েছে আরিয়ানকে, কোনওরকম মাদক না থাকা সত্ত্বেও দিন পর দিন জেলবন্দি হতে থাকতে হয়েছে বছর ২৩-এর শাহরুখ পুত্রকে, দাবি আরিয়ান সমর্থকদের। হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন টুইট করে ‘জসবা’ পরিচালক লেখেন, ‘বম্বে হাই কোর্ট জানাচ্ছে আরিয়ান নির্দোষ। তাহলে ওকে, ওর পরিবারকে যে দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তার খেসারত কে দেবে?’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
গত ২৮ অক্টোবর মাদক মামলায় জামিন পান আরিয়ান। মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেল থেকে ছাড় পান ৩১ অক্টোবর। শনিবার সেই মামলার বিস্তারিত রায় প্রকাশ করেছে বম্বে হাই কোর্ট। ১৪ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারপতি নীতিন সামব্রে জানিয়েছেন, মাদক মামলায় ষড়যন্ত্রের জন্য আরিয়ানদের একই অপরাধের উদ্দেশ্য ছিল বলে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) তরফে যে দাবি করা হয়েছে, তা খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে। হাইকোর্ট জানিয়েছে, অভিযুক্তরা ক্রুজে যাচ্ছিলেন – শুধুমাত্র সেই ভিত্তিতে তাঁদের বিরুদ্ধে মাদক আইনের ২৯ নম্বর ধারা প্রয়োগ করা যাবে না।
বিচারপতি জানিয়েছেন, ষড়যন্ত্রের অভিযোগের ভিত্তি হিসেবে আবেদনকারীদের কাছে কোনও মাদক ছিল কিনা, তা আদালতকে খতিয়ে দেখতে হবে। সেখানে আরিয়ানের থেকে কোনও মাদক উদ্ধার হয়নি। আরবাজ এবং মুনমুনের থেকে যে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে, তা মাদক আইন অনুযায়ী ‘কম’। সেই পরিস্থিতিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ধারা প্রয়োগ করতে ‘ইতিবাচক প্রমাণ’ লাগবে। যা থেকে বোঝা যাবে যে বেআইনি কাজ করতে কোনওরকম চুক্তি হয়েছে বা আরিয়ান, আরবাজ এবং মুনমুনের মধ্যে কোনও বিষয় নির্ধারিত হয়েছে। কিন্তু প্রাথমিকভাবে তেমন কোনও বিষয় মেলেনি। আপাতত যা তদন্ত হয়েছে, তা থেকে উঠে এসেছে যে মুনমুনের সঙ্গে যাননি আরিয়ান এবং আরবাজ।