জন্মদিনে এনসিবির মারাথন জেরার মুখে পড়লেন আরিয়ান খান। মাদককাণ্ডে জামিন পেলেও কিছুতেই রেহাই পাচ্ছেন না শাহরুখ পুত্র। শুক্রবার এনসিবির বিশেষ তদন্তকারী দলের মুখোমুখি হয়েছিলেন আরিয়ান। আপতত ড্রাগস ক্রুজ পার্টি মামলার তদন্তভার সামলাচ্ছেন দিল্লি এনসিবির একটি দল, তাঁরাই এদিন জিজ্ঞাসাবাদ করল মামলার অন্যতম অভিযুক্ত আরিয়ান খানকে।
শুক্রবার দুপুরে এনসিবির ব্যালাড এস্টেটের অফিসে সাপ্তাহিক হাজিরার জন্য পৌঁছেছিলেন আরিয়ান। বম্বে হাইকোর্টের তরফে উল্লেখিত জামিনের শর্তে স্পষ্টই বলা হয়েছে, প্রতি শুক্রবার এনসিবির অফিসে হাজিরা দেবেন আরিয়ান। এরপর এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জয় কুমার সিং-এর নেতৃত্বাধীন সিটের মুখোমুখি হয় আরিয়ান। নভি মুম্বইয়ের এক অজানা লোকেশনে আরিয়ানকে বিকাল থেকে মাঝরাত পর্যন্ত জেরা করে এনসিবি, খবর সূত্র মারফত। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এনসিবির তরফে এই নিয়ে কোনও তথ্য দেওয়া না হলেও, সূত্রের খবর নভি মুম্বইয়ের ব়্যাফ অফিসে আরিয়ানকে জেরা করেছে এই বিশেষ দল। এদিন আরিয়ানকে ২রা অক্টোবরের সেই ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চায় এনসিবির দিল্লি টিম। কী পরিস্থিতি ছিল, কেমনভাবে তাঁরা গ্রেফতার হল, মাদকপাচারকারীদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ, ড্রাগসের সঙ্গে তাঁর পরিচয়, কতদিন ধরে নিষিদ্ধ মাদক ব্যবহার করছে সে- সবটা জানতে চায় এনসিবি।
এনসিবির ডিডিজি জ্ঞানেশ্বর সিং জানিয়েছেন, ‘আমাদের তদন্ত জারি রয়েছে, এবং এই তদন্তের উপর আমরা জোর দিচ্ছি… খুব দ্রুত এই মামলার নিষ্পত্তি করতে চাই। এখনও এই তদন্তের কিছু গুরুত্বপূর্ণ মানুষজনকে জেরা করা বাকি রয়েছে’।
আরিয়ান মামলায় তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছিল মুম্বই এনসিবির জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে। বিতর্কের মাঝেই এই মামলার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। জানা গিয়েছে, জ্ঞানেশ্বর সিং-এর নেতৃত্বাধীন দলের তরফে আরিয়ানের কাছ থেকে পূর্ববর্তী টিমের তদন্ত নিয়েও বেশ কিছু প্রশ্ন রাখা হয়েছিল। কাস্টডি-তে তাঁর সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা হয়েছিল থেকে তাঁর পরিবারের থেকে ঘুষ চাওয়া হয়েছি কিনা, সবটা জানতে চাওয়া হয়। ২রা অক্টোবর এনসিবির তল্লাশির সময় আরিয়ানের কাছ থেকে কোনও নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার হয়নি। তাঁর বন্ধু আরবাজ মার্চেন্টের কাছে ৬ গ্রাম ড্রাগস পাওয়া গিয়েছিল। আদালতে এনসিবি এর আগে দাবি করেছিল, ‘ওই ড্রাগস আরবাজের কাছে রয়েছে তা জানত আরিয়ান, সেটা ওরা দুজনেই ব্যবহার করত, তাই ওই ড্রাগস আরিয়ানের কাছ থেকে না মিললেও সে সমান দোষী’। পাশাপাশি আরিয়ানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাদকচক্রের যোগসাজশ রয়েছে, এমন দাবিও তুলেছিল এনসিবি।
শুক্রবার আরিয়ানকে এনসিবির যে টিম জেরা করে তাঁর অংশ ছিলেন না সমীর ওয়াংখেড়ে। সরাসরিভাবে এই তদন্তের সঙ্গে যুক্ত না হলেও এনসিবির বিশেষ তদন্তকারী দলকে ‘অ্যাসিস্ট’ করবেন তিনি, আগেই জানিয়েছেন এনসিবির ডিডিজি জ্ঞানেশ্বর সিং।
গত সপ্তাহেই দিল্লি থেকে মুম্বইয়ে উড়ে এসেছে এই বিশেষ তদন্তকারী দল। আরিয়ান মামলা-সহ মুম্বই এনসিবির থেকে মোট ৬টি মাদক মামলার তদন্তভার গিয়েছে এই টিমের হাতে। ইতিমধ্যেই সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ আনা প্রভাকর সেইলকে জেরা করেছে এই টিমের আধিকারিকরা।