৫৮ হাজার ২৭৫ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী এপ্রিল মাসের পেনশন সময় মতো পাননি। এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছিল। রাহুল গান্ধী টুইট করে কেন্দ্র সরকারকে তোপ দেগেছিলেন। পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীদের পেনশন দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। এই আবহে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে সরকারের তরফে জানানো হয় যে আজকের মধ্যে সেনাকর্মীরা তাঁদের পেনশন পেয়ে যাবেন।
সরকারের তরফে বলা হয়েছে, প্রাক্তন সেনাকর্মীদের অনেকেরই শনাক্তকরণ নথি অপডেট ছিল না। তাই তাঁরা এপ্রিলের পেনশন সময় মতো পাননি। কারণ শেষ শনাক্তকরণ নথি জমা করা বাধ্যতামূলক। এটা আদতে একটি জীবন শংসাপত্র যা পেনশনভোগীদের প্রতি বছর দিতেই হয়। না হলে পেনশন আটকে যেতে পারে। সরকার বিবৃতিতে জানায়, ২০২২ সালের এপ্রিল মাসের পেনশন দেওয়ার সময় দেখা যায় প্রায় ৩.৩ লক্ষ সেনাকর্মীর (অবসরপ্রাপ্ত) নথি আপডেট করা নেই। ২৫ এপিলের মধ্যে এদের মধ্যে ২.৬৪ লক্ষ জনের নথি আপডেট করা হয়। তবে ৫৮ হাজার ২৭৫ জনের নথি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। প্রতি বর এসএমএস বা ইমেলের মাধ্যমে অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীদের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। তবে যে সকল সেনা কর্মী এখনও এপ্রিলের পেনশন পাননি, আজকের মধ্যে তাঁদের পেনশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
এর আগে বেশ কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত থ্রি-স্টার অফিসার সহ শত শত প্রাক্তন সেনাকর্মীরা চলতি বছরের এপ্রিলে তাদের পেনশন পাননি সময় মতো। কেন অবসরকালীন সুবিধা তাদের অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়নি, সরকারি পেনশন বিতরণকারী কর্তৃপক্ষের কাছে এই প্রশ্নের কোনও ব্যাখ্যা নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। পেনশন না পাওয়া বেশ কয়েকজন প্রাক্তন সেনাকর্মী হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছেন যে এপ্রিলের ৩০ তারিখের মধ্যে তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হওয়া উচিত ছিল। তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত সেই পেনশনের টাকা বকেয়া ছিল।
এর প্রেক্ষিতে রাহুল গান্ধী টুইট করে কেন্দ্রকে তোপ দেগেছিলেন। টুইট বার্তায় রাহুল লেখেন, ‘ওয়ান র্যা্ঙ্ক, ওয়ান পেনশন’ প্রতারণার পর এখন ‘অল র্যা ঙ্ক, নো পেনশন’ নীতি গ্রহণ করছে মোদী সরকার। সেনাদের অপমান করা দেশের অপমান। সরকারের উচিত প্রাক্তন সেনাদের দ্রুত পেনশন দিয়ে দেওয়া। এরপরই কেন্দ্রের তরফে এই পুরো বিতর্ক প্রসঙ্গে বিবৃতি প্রকাশ করা হল।