সদ্য় শেষ হওয়া বিশ্বকাপে (CWC 2023) বারবার শিরোনামে উঠে এসেছেন মহম্মদ শামি (Mohammed Shami)। প্রথম চার ম্যাচ তাঁকে খেলায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু ৭ ম্যাচে তিনি একাই ২৪ উইকেট তুলে নেন আগুনে পারফরম্যান্সে। হয়েছেন বিশ্বকাপের সর্বাধিক উইকেট শিকারিও। শামি মারাত্মক লাইন-লেন্থ-সুইং বিপক্ষের কাছে ছিল ত্রাসের বিজ্ঞাপন। এবার শামির এই পারফরম্য়ান্সকে ঐতিহাসিক করে রাখতে চাইছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)। শামির হাতে এবার উঠুক অর্জুন পুরস্কার (Arjuna Award)। বিসিসিআই কেন্দ্রকে বিশেষ অনুরোধ করেছে, দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্রীড়াসম্মানের জন্য় শামির নাম ভাবা হোক। এমনটাই রিপোর্ট।
এবার কেন্দ্রের মনোনীত ১২ সদস্য়ের কমিটি এবার বেছে নেবে খেল রত্ন ও অর্জুন প্রাপককে। কমিটির মাথায় রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএম খালউইলকর। রয়েছেন হাফ ডজন প্রাক্তন অ্যাথলিট- হকি খেলোয়াড় ধনরাজ পিল্লাই, প্যাডলার কমলেশ মেহতা, বক্সার অখিল কুমার, মহিল শ্যুটার ও বর্তমান জাতীয় কোচ শুমা শিরুর, ক্রিকেটার অঞ্জুম চোপড়া, ব্য়াডমিন্টন খেলোয়াড় তৃপ্তি মুরগুন্ডে, ভারোত্তলক ফরমান পাশা।
ভারতের বোলিং কোচ পরম মামব্রে কিছুদিন আগে বলেছিলেন যে, শামির মতো শিল্পীদের কোনও কোচ তৈরি করতে পারে না। শামিরা নিজেরাই নিজেদের কারিগর। মামব্রে বলেছিলেন, ‘দেখুন আমি যদি আপনাকে বলি যে, কোচরা শামির মতো একজন বোলারকে তৈরি করতে পারে, তাহলে মিথ্য়া বলা হবে। একজন বোলার প্রতিবার যদি আপরাইট সিমে বল ল্য়ান্ড করাতে পারে, তাহলে পৃথিবীতে সবাই শামি হয়ে যেত। চূড়ান্ত কঠোর পরিশ্রম করার পরেই শামি এই দক্ষতা অর্জন করেছে, নিজেকে আজ এরকম একজন বোলার বানাতে পেরেছে। একেবারে পারফেক্ট রিস্ট ও সিম পজিশনে বলের পর বল করে যায় শামি। এটা বিরল নৈপুণ্য ছাড়া আর কী বলব! প্রচুর বোলার সিমে বল ডেলিভারি করে ঠিকই। কিন্তু তারপর তাদের বল পিচে পড়ে সোজা হয়ে যায়।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিন ফরম্যাটে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলছে টিম ইন্ডিয়া। নেলসন ম্য়ান্ডেলার দেশে ১০ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকছে টিম ইন্ডিয়া। দুই দেশ তিনটি টি-২০, তিনটি ওয়ানডে ও দু’টি টেস্ট খেলবে। সাদা বলের ক্রিকেটে নেই শামি। তিনি সম্ভবত ফিরবেন টেস্টে। বিশ্বকাপের পর ছুটি নিয়েছেন শামি।