বিনোদন কি কেবল পর্দায়? বিনোদন স্টুডিয়োর আনাচে-কানাচে, সেটের অন্দরেও। অভিনেতারা দর্শকদের মনোরঞ্জনের কারণে নানা ভূমিকায় নানা সময়ে অবতীর্ণ হন। টলিপাড়ায় কানাঘুষো, বাতাস থেকে অকারণ নানা সমস্যা তৈরি করে নিজেদের মনোরঞ্জনের ব্যবস্থাও নাকি নিজেরাই করে নেন। যেমন ঘটেছে সম্প্রতি। জনপ্রিয় এক ধারাবাহিকের সেটে নাকি নিত্যদিন চাপা উত্তেজনা। নেপথ্যে, ধারাবাহিকের নায়িকা আর তাঁর পর্দার দিদি। উভয়ের মধ্যে সারাক্ষণ দড়ি টানাটানি চলছে, ‘তুই বড় না মুই?’ এই দড়ি টানাটানির চোটে নাকি নাভিশ্বাস দশা সেটের বাকিদের। বিশেষ করে অভিনেতাদের। এমনিতেই ধারাবাহিকের গল্পে আইনের প্যাঁচ-পয়জার। তার উপরে যদি অভিনেত্রীরাও নিজেদের মধ্যে প্যাঁচ কষতে শুরু করেন তা হলে কী করে হয়? চাপা অভিযোগ বাকিদের।
এমনিতে ধারাবাহিকের প্রযোজকের যথেষ্ট সুনাম। তিনি নাকি সাধারণত এই ধরনের আচরণ বরদাস্ত করেন না। সবাকেই সমান চোখে দেখার চেষ্টা করেন। তাঁর আড়ালে সেটে যে এই ধরনের উত্তেজনা ছড়ায় তিনি সেটা কী করে জানবেন?
এ দিকে নায়িকার আগে শুটিং শেষ হয়ে গেলে দ্বিতীয় জনের মুখ ভারী। একই ভাবে উল্টো কথা ঘটলে প্রথম জনের মুখ হাঁড়ি! আবার নায়িকা সেটে বেশি প্রাধান্য পেয়ে গেলে শুটিংয়ে মন বসে না তাঁর পর্দার ‘দিদি’র। তিনি তখন তল্পিতল্পা গুটিয়ে বাড়ির পথে রওনা দিতে পারলে বেঁচে যান। তেমনটা না হলেই তাঁর মেজাজের ঝাঁজে বাকিদের ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা। দেখেশুনে সেটের বাকি অভিনেতারা ঠিক করেছেন, এক দিন চুপিচুপি প্রযোজককে ডেকে আনবেন তাঁরা। নিজের চোখে সব দেখে তিনি যদি কোনও সমাধান করতে পারেন।