ফের দুর্ঘটনা বাইপাসে। রাতের কলকাতায় দুর্ঘটনার কবলে ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের ছেলের গাড়ি। বৃহস্পতিবার রাতে ইএম বাইপাসে দুর্ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন আরাবুল-পুত্র। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি বেপরোয়া গতিতে চলছিল হাকিমুলের গাড়ি। হঠাৎ রাস্তার এক লেন থেকে অন্য লেনে ঢুকে অপর একটি গাড়িকে ধাক্কা মারে তাঁর গাড়ি। আরও অভিযোগ উঠেছে মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন হাকিমুল।
বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনার পরে হাকিমুলকে ওই এলাকা থেকেই গ্রেফতার করে পুলিস। বৃহস্পতিবার রাত ১০.৩০ মিনিট নাগাদ সাইন্স সিটির দিক থেকে চিংরিহাটার দিকে যাচ্ছিল গাড়িটি। বাইপাসের মেট্রোপলিটান সিগনাল থেকে চিংড়িঘাটার দিকে যাওয়ার সময় উল্টো দিকের লেনে ঢুকে যায় গাড়ি। চিংড়িঘাটা থেকে সায়েন্স সিটির দিকে আসা একটি ছোট গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় আরাবুলের ছেলের গাড়ির। দুটি গাড়িরই সামনেই অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতের এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর না এলেও তীব্র গতিতে গাড়িটি চলছিল বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনার পরে গাড়িটিকে আটক করে পুলিস। একই সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় আরাবুল ইসলামের ছেলেকেও। জানা গিয়েছে রাত ২টোর সময় ব্যক্তিগত বন্ডে ছাড়া হয় তাঁকে। ঘটনাস্থলে আসেন আরাবুল ইসলাম নিজে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন না। যদিও প্রচন্ড গতিতে গাড়ি চলার কথা স্বীকার করেছেন তিনি নিজেও।
যদিও এখনও সঠিকভাবে জানা যায়নি কী কারণে ঘটেছে এই ঘটনা। হাকিমুল ইসলাম মত্ত অবস্থায় ছিলেন কিনা সেই বিষয়ে মুখ খুলতে চায়নি পুলিস। সম্পূর্ণ বিষয়ের তদন্ত শুরু করেছে তাঁরা। পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হচ্ছে হাকিমুলের মেডিক্যাল রিপোর্ট। একইসঙ্গে রাস্তার ধারে থাকা বিভিন্ন প্রমাণ সংগ্রহ করেছে পুলিস।
আরাবুল ইসলামের দাবি, ‘ছেলে কোনওভাবেই নেশাগ্রস্থ অবস্থায় ছিল না। এটা একটি দুর্ঘটনা। কোনও কারনে হয়তো ব্রেক থেকে পা অন্য জায়গায় চলে যায়, সেই কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। ছেলে রাস্তায় কোনদিন সেভাবে গাড়ি চালায় না আজকে হয়তো মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত ছিল। আমার ছেলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। সিগারেট ছাড়া অন্য কোনও নেশা নেই তাঁর’।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে দুর্ঘটনার আগে বেশ কয়েকটি সিগ্নাল ভাঙ্গে ওই গাড়ি এবং পুরো ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে তাঁরা।