জীবিত হয়েও সরকারি নথিতে মৃত বলে উল্লেখ থাকায় বিপাকে জলপাইগুড়ি এক বাসিন্দার। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের কার্ডে তাঁকে মৃত বলে নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। জীবিত মানুষকে কিভাবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে মৃত করা হল তা নিয়েই জলপাইগুড়ি শহরে শুরু হয়েছে নিন্দার ঝড়।
জলপাইগুড়ি শহরের লক্ষ্মণ মৌলিক সরণীর বাসিন্দা বছর ৬৭-র সৌমিত্র বসাক। এই বিশিষ্ট সাংবাদিকের সম্প্রতি হার্টের সমস্যা হয়। এরপর চিকিৎসক দেখালে এনজিওগ্রাফ করতে বলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। যেহেতু এই পরিসেবা জলপাইগুড়িতে পাওয়া যায় না, তাই তিনি মনস্থির করেন কলকাতায় গিয়ে এনজিওগ্রাফ করাবেন। এরপর তিনি বাড়িতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড খুঁজে না পেয়ে যোগাযোগ করেন জলপাইগুড়ি স্বাস্থ্য সাথী দপ্তরে। তাদের কথা মতো তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে সেই কপি জলপাইগুড়ি স্বাস্থ্য সাথী দপ্তরে জমা দেন। এরপর তাকে নতুন কার্ড দিয়ে দেওয়া হয়। নতুন কার্ড নিয়ে সৌমিত্র বাবু চলে যান কলকাতার মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে তিনি তার নতুন কার্ড জমা দেন। এর কিছুক্ষণ পর তাকে ডেকে নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর তার হাতে একটি জেরক্স কপি ধরিয়ে দিয়ে বলা হয় স্বাস্থ্য সাথী কার্ড অনুযায়ী আপনি মৃত। তাই আপনাকে এই কার্ডের পরিসেবা দিতে পারবো না আমরা। এই শুনে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তাঁর। এরপর তিনি ঋণ করে এনজিওগ্রাফ করিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। এই বিষয়ে আজ তিনি ফের জেলাশাসকের দপ্তরের স্বাস্থ্য সাথী বিভাগের দ্বারস্থ হন।
সৌমিত্র বসাক বলেন, আমি যখন নতুন কার্ড বানাতে এলাম, তখন আমার থেকে ষাট টাকা নিয়ে নতুন কার্ড দেওয়া হয়। কিন্তু কলকাতায় গিয়ে আমি জানতে পারলাম স্বাস্থ্য সাথী কার্ড অনুযায়ী আমি মৃত। এর জেরে আমি হয়রানির শিকার হই। আজ আমি ফের এই দপ্তরে এলাম। আমার অভিযোগ জমা নেওয়া হয়েছে। আমি বয়স্ক মানুষ। দপ্তরের গাফিলতির জন্য এই জাতীয় হয়রানির শিকার কেন হতে হবে আমাকে? আমার যেই টাকা খরচ হয়েছে তা আমি ফেরত চাই।
জলপাইগুড়ি স্বাস্থ্য সাথী দপ্তরের কিয়স্ক ম্যানেজার কৌশিক বিশ্বাস জানিয়েছেন, তারা সৌমিত্রবাবুর অভিযোগ পেয়েছেন। দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে দেওয়া হবে।