মানিক ভট্টাচার্যকে মধ্যরাতে জেরা প্রসঙ্গে প্রতিবাদ এপিডিআর-এর

মানিক ভট্টাচার্যকে জেলে গিয়ে মধ্যরাতে জিজ্ঞাসাবাদের প্রসঙ্গে প্রতিবাদ জানাল এপিডিআর।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত শূর বুধবার এক প্রেস বিবৃতিতে জানান, গতকাল প্রেসিডেন্সি জেলে মধ্যরাত পর্যন্ত মানিক ভট্টাচার্যকে সিবিআইয়ের জেরা করার মাধ্যমে মানিক ভট্টাচার্য ও অন্যান্য বন্দিদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে মনে করি আমরা।

ভারতীয় সংবিধানের ২১ নং ধারা অনুযায়ী বিশ্রাম ও ঘুমের অধিকার মানুষের মৌলিক অধিকার। এব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের সুস্পস্ট নির্দেশও আছে।জেলবন্দিরাও তার বাইরে নয়।

শুধু তাই নয়, এই ঘটনার মাধ্যমে জেল কোডও লঙ্ঘন করা হয়েছে। জেল কোড অনুযায়ী সূর্যাস্তের আগে সমস্ত বন্দিকে লকআপ হতে হয়। রাতের খাবারও লকআপের আগে দিয়ে দেওয়া হয় বা সেলে পৌঁছে দেওয়া হয়। বন্দিকে রাতে কোনো ভাবেই সেল বা ওয়ার্ড থেকে বের করা হয় না। এক্ষেত্রে সবই লঙ্ঘন করা হয়েছে।

আমাদের মানিক ভট্টাচার্যের প্রতি কোনো সহানুভূতি নেই। আমরাও তার দৃষ্টান্তমূলক সাজা চাই। কিন্তু বন্দি হিসাবে তাঁর ও অন্যান্য বন্দিদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধেই কেবল আমাদের বক্তব্য। আমাদের আরও বক্তব্য, এই ঘটনায় বিচারপতি যেন বন্দিদের প্রতি খারাপ ব্যবহার করার জন্য তদন্তকারি সংস্থার অফিসারদের উস্কে দিতে চেয়েছেন। মধ্যরাতের পরে ফের সকালে জেরা করার নির্দেশ। মধ্যরাতে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে? এত নাটকীয়তা কেন? এটা প্রত্যাশিত ছিল না।

সাম্প্রতিককালে রাজ্য সরকারও নানাভাবে বন্দিদের অধিকার হরণ করছে। বন্দিরা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলি তার বিরুদ্ধে আদালতে যায় বিচার চাইতে। এখন আদালতও যদি বন্দিদের অধিকার হরণ করে তবে বন্দি বা বন্দি পরিবারগুলি কার কাছে যাবে?

মানিক ভট্টাচার্যের উদাহরণ দিয়ে পরে এভাবে বন্দি নিপীড়নটাই রীতি হয়ে যাবে। মাননীয় বিচারপতি আদেশ দেওয়ার সময় বৃহত্তর প্রেক্ষাপটটাও মাথায় রাখবেন এটাই প্রত্যাশা। নাহলে এটা ক্ষমতার অপব্যবহার হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.