এশিয়া কাপের ফাইনালেও পিছু ছাড়েনি বৃষ্টি। ম্যাচ শুরু হয় ৪০ মিনিট দেরিতে। গোটা এশিয়া কাপেই এটা ছিল পরিচিত দৃশ্য। এর মাঝেও যে ম্যাচ হয়েছে, সেটার কৃতিত্ব দিতেই হবে মাঠকর্মীদের। এশিয়ার ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) এবং অন্যতম আয়োজক শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ড মাঠকর্মীদের আর্থিক পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় মূল্যে প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে মাঠকর্মীদের।
এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানে চারটি ম্যাচ হয়। বাকি সব ম্যাচ হয় শ্রীলঙ্কায়। এর মধ্যে ক্যান্ডি এবং কলম্বোতে ম্যাচগুলি হয়। গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলি হয় ক্যান্ডিতে। সুপার ফোর এবং ফাইনাল হয় কলম্বোতে। ক্যান্ডিতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বৃষ্টির জন্য ভেস্তে গিয়েছিল। সেখানেও মাঠকর্মীরা চেষ্টা করেছিলেন। কলম্বোতে প্রায় প্রতি ম্যাচেই বৃষ্টি হয়েছে। ম্যাচের মাঝে বৃষ্টির সময় দেখা গিয়েছে কী ভাবে পুরো মাঠ ঢেকে দিয়েছেন মাঠকর্মীরা। এসিসি-র প্রধান জয় শাহ বলেন, “তাঁদের কথা খুব একটা বলা হয় না। কিন্তু তাঁরাই এখানে আসল নায়ক। তাই এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিল এবং শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ড ঠিক করেছে যে, কলম্বো এবং ক্যান্ডির পিচ প্রস্তুতকারক এবং মাঠকর্মীদের ৫০ হাজার ডলার (প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা) দেওয়া হবে।”
এশিয়া কাপ পাকিস্তানের হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভারত সে দেশে গিয়ে খেলতে চায়নি। সেই কারণে পাকিস্তানের সঙ্গে শ্রীলঙ্কাকে জুড়ে দেওয়া হয়। বৃষ্টির কারণে শ্রীলঙ্কায় ম্যাচ বাতিল হওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। পাকিস্তানের কর্তারা ভারতকে দায়ী করেন এর জন্য। সেই সব সামলে দিলেন শ্রীলঙ্কার মাঠকর্মীরা। তাঁদের পরিশ্রমের কারণেই একাধিক ম্যাচ হয়েছে। যে ভাবে বার বার পুরো মাঠ ঢাকা হয়েছে তা প্রশংসনীয়। সেই সঙ্গে কখনও পাখা, কখনও হ্যালোজেন আলো ব্যবহার করে মাঠ শুকনো হয়েছে। তাঁদের সেই কাজের প্রশংসা করে রবিবার মাঠে একটি ভিডিয়ো দেখানো হয়। প্রশংসা করা হয় তাঁদের।
জয় শাহ বলেন, “মাঠকর্মীরা যে ভাবে পরিশ্রম করেছেন তা অভাবনীয়। পিচ সব সময় প্রস্তুত ছিল। আউটফিল্ডও শুকনো রাখা হয়েছে। তাঁদের জন্যই ক্রিকেট খেলা সম্ভব হয়েছে।” শ্রীলঙ্কার আবহাওয়া খেলাটাই কঠিন হচ্ছিল। সেটা সম্ভব হল মাঠকর্মীদের জন্যই। ফাইনাল ম্যাচের সেরা হয়ে নিজের পুরস্কার মাঠকর্মীদের হাতে তুলে দেন মহম্মদ সিরাজও।