দিল্লি হাইকোর্টে উঠতে চলেছে অনুব্রত মণ্ডলের মামলা। অনুব্রতকে গ্রেফতার করার পর রউজ অ্যাভেনিউ আদালত তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন অনুব্রত। বারবার শুনানি পিছিয়েছে সেই মামলার।
এবার এই কাণ্ডে ইডি অফিসে হাজিরা অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিজয় রজকের। বিজয় রজক, অনুব্রতর রাঁধুনি। লাভপুর কলেজের অশিক্ষক কর্মচারী। ইডির নজরে বিজয়ের বোলপুরে বিপুল সম্পত্তি, বিরাট বাড়ি।
এরপর তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়েছে ইডি। আদালতের নির্দেশে ২১ মার্চ অবধি হেফাজতেও পেয়েছে ইডি। সেই সূত্রেই আজ দিল্লি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করতে পারেন অনুব্রতর আইনজীবী।
গরু পাচার মামলায় ইডি আসানসোল জেলের মধ্যেই অনুব্রতকে গ্রেফতারের পরে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট তাঁকে দিল্লিতে হাজির করানোর পরোয়ানা জারি করেছিল, যাতে ইডি বীরভূমের এই তৃণমূল নেতাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। ওই পরোয়ানার বিরুদ্ধে ও রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে আগেই অনুব্রত দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করেন। ইডি তাঁকে গ্রেফতারের পরে কারণ জানিয়ে কোনও নথি দেয়নি বলে অভিযোগ জানিয়েও মামলা করা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যায় ইডি।
অনুব্রতের জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়ে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট বলেছিল, ওই তৃণমূল নেতা দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করে ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদ পিছিয়ে দিয়েছেন। তার পরে ইডি নির্দিষ্ট সময়ে চার্জশিট পেশ করতে পারেনি বলে জামিন চেয়েছেন। অনুব্রত মণ্ডলকে তাঁর নিজের ‘দুষ্কর্মের সুফল’ তুলতে দেওয়া যায় না। অনুব্রতের হয়ে চার প্রবীণ আইনজীবী অভিষেক মনুসিঙ্ঘভি, কপিল সিব্বল, এন হরিহরণ ও রমেশ গুপ্ত সওয়াল করেন। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। এবার ফের জামিনের জন্য দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন করতে চলেছেন অনুব্রত।