Anubrata Mandal: দাপুটে অনুব্রতকে সুযোগ পেয়েই ‘গরু চোর’ বলল পাড়ার লোক, জুতো দেখাল বিরোধীরা

যে জেলায় তাঁর ‘দাপট’ ছিল আলোচনার বিষয়! সেই বীরভূমের বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির কাছেই তাঁকে লক্ষ্য করে উঠল ‘চোর চোর, গরু চোর’ স্লোগান। বীরভূমের প্রভাবশালী নেতাকে গ্রেফতারির দাবিও উঠল তাঁর পাড়াতেই।

আবার একটু এগোতেই জুতোও দেখানো হল তৃণমূল নেতাকে। দিন কয়েক আগেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূলের আরেক নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে জুতো ছোড়া হয়েছিল জোকা ইএসআই হাসপাতালে। বীরভূমের দাপুটে নেতাও বৃহস্পতিবার জুতো বিক্ষোভের মুখে পড়লেন। আসানসোলের আদালত চত্বরে অনুব্রতকে লক্ষ্য করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল বাম এবং বিজেপি। সেখানেই উপস্থিত বিক্ষোভকারীদের দু’হাতে জুতো উঁচিয়ে ‘গরু চোর’ বলতে শোনা যায় অনুব্রতকে লক্ষ্য করে।

গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রতকে বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। তার আগে অনুব্রতর বাড়ি ঘিরে ফেলেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী।তৃণমূল নেতাকে ওই ঘেরাটোপের মধ্যেই তাঁর বাড়ি থেকে বের করে গাড়িতে তোলা হয়। এক আধিকারিককে অনুব্রতের ঘাড়ে হাত রেখে এগিয়ে নিয়ে যেতেও দেখা যায়।

নেতাকে গ্রেফতার করা হবে শুনে তাঁর এলাকায় পাড়ার মোড়ে মোড়ে ভিড় জমিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। অনুব্রতকে নিয়ে যাওয়ার সময়ে সেখানেই ওঠে ‘চোর চোর গরু চোর’ স্লোগান। এমনকি, গ্রেফতারের দাবিও। তবে শুধু অনুব্রতের পাড়া নয়, বোলপুরের বাড়ি থেকে বের করার পর অনুব্রতকে যেখানেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সেখানেই শোনা গিয়েছে ‘গরু চোর’ আওয়াজ। যা অনুব্রত আসানসোলের আদালত চত্বরে পৌঁছলেও থামেনি।

উল্লেখ্য, সোমবারও অনুব্রতকে ‘গরু চোর’ বলা হয়েছিল। তবে কলকাতায়। সোমবার সিবিআই ডেকেছিল অনুব্রতকে। গরু পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই নিজাম প্যালেসে ডাকা হয় তাঁকে। অনুব্রত যদিও আসেননি। বদলে এসএসকেএমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু এসএসকেএম তাঁকে ফিরিয়ে দেয়। অনুব্রত হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠতেই তাঁকে লক্ষ্য করে গরু চোর বলে চিৎকার করে উপস্থিত জনতার মধ্যে কয়েকজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.