গরুপাচার মামলায় অভিযুক্ত বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। বৃহস্পতিবারই তাঁর বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালান সিবিআই আধিকারিকরা। তার বেশ কিছু ক্ষণ পরে কেষ্টর বাড়ির সামনে ইতিউতি ঘুরতে দেখা গেল একটি গরুকে। এই ছবি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিরোধীরা।
বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রায় একশো জওয়ানকে নিয়ে বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকায় অনুব্রতের বাড়িতে প্রবেশ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। জওয়ানরা তত ক্ষণে কেষ্টর বাড়ি ঘিরে ফেলেন। এর কিছু ক্ষণের মধ্যেই অনুব্রতকে আটক করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাঁকে বোলপুর থেকে দুর্গাপুর হয়ে নিয়ে যাওয়া হয় আসানসোলে। এর মধ্যেই অবশ্য অনুব্রতকে গ্রেফতার করা হয়। সিবিআই আধিকারিকরা অনুব্রতকে যখন তাঁর বাড়ি থেকে বার করে নিয়ে যাচ্ছেন তখন বহু মানুষ ভিড় জমান তাঁর বাড়ির সামনে। কিন্তু কিছু ক্ষণ পর সুনসান হয়ে যায় ওই চত্বর। এর মাঝেই দেখা যায় একটি গরুকে অনুব্রতর দরজার ঠিক সামনে। এই ছবি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তা নিয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন বিরোধীরা।
ঘটনাচক্রে, অনুব্রতকে নিয়ে বোলপুর থেকে আসানসোল যাওয়ার পথে মাঝেমাঝেই দেখা গিয়েছে রাস্তার দু’পাশে কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় করেছেন। বিজেপি এবং বাম সমর্থকরাও ভিড় করেন দলীয় পতাকা নিয়ে। আসানসোল আদালত চত্বরে বাম এবং বিজেপি দুই শিবিরের সমর্থকরাই নিজেদের দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে একসঙ্গে অনুব্রতকে বিক্ষোভ দেখান। একই সঙ্গে ‘গরুচোর’ বলেও অনুব্রতকে কটাক্ষ করেন তাঁরা। গত সোমবার এসএসকেএমে গিয়েছিলেন অনুব্রত। সেখানেও তাঁকে ‘গরুচোর’ বলে কটাক্ষ করা হয়।
এ নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের খোঁচা, ‘‘অনুব্রতকে সিবিআই তুলে নিয়ে যেখানে যেখানে যাচ্ছে সেখানে মানুষ চোর-চোর বলে চিৎকার করছে। ওই গরুটিও হয়তো চোর খুঁজতেই এসেছে। এক দিকে মানুষের ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। তেমনই এটা প্রকৃতিও ক্ষোভ দেখাচ্ছে।’’