Anubrata Mandal: মেয়েকে নিয়ে প্রশ্ন শুনেই ক্রুদ্ধ কেষ্ট, কটমট করে তাকিয়ে ঠেলে সরালেন মাইক্রোফোন!


রেগে গেলেন অনুব্রত মণ্ডল। নিজাম প্যালেসে ঢোকার মুখে রাগের চোটে মেজাজও হারালেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা। সাংবাদিকরা নানা প্রশ্ন ছুড়ে তাঁর উত্তরের আশায় মুখের সামনে মাইক্রোফোন এগিয়ে দিয়েছিলেন। অনুব্রত সেই সেই মাইক্রোফোনের মুখ এক হাতে ধরে মুচড়ে সরিয়ে দিলেন। সঙ্গে থমথমে মুখে কটমটে চাহনি ফিরিয়ে দিলেন সংবাদমাধ্যমকে।

মঙ্গলবার দুপুরে নিজাম প্যালেসের সামনে ঘটে এই ঘটনা। কম্যান্ড হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে তখন সবে অনুব্রতের গাড়ি ঢুকেছে নিজাম প্যালেসে। গাড়ি থেকে তৃণমূল নেতা নামতেই তাঁকে ঘিরে ধরে সংবাদমাধ্যম। গত বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে সংবাদমাধ্যমের কোনও প্রশ্নেরই জবাব দেননি কেষ্ট। শত প্রশ্নেও তাঁকে নির্বিকার থাকতেই দেখা গিয়েছে। বরং হতাশও মনে হয়েছে কখনও-সখনও। তবে মঙ্গলবার সকালের অনুব্রতের সঙ্গে সেই নিষ্প্রভ অনুব্রতের আকাশপাতাল ফারাক। মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসের সামনে অনুব্রতকে পাওয়া গেল তাঁর পুরনো মেজাজে। সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, গরুপাচার-কাণ্ডে অনুব্রতের মেয়ের ভূমিকা কী? তার জবাবেই অনুব্রতের ওই প্রতিক্রিয়া। সংবাদমাধ্যমের মাইক্রোফোন ঠেলে সরিয়ে দিয়ে অনুব্রত বললেন, ‘‘কিচ্ছুু বলব না।’’

কিন্তু কেন মেজাজ হারালেন কেষ্ট? মেয়েকে নিয়ে প্রশ্ন শুনেই কি মেজাজ হারালেন তিনি? না কি অন্য কোনও কারণ? নিজাম প্যালেসের সামনে এ দিন অবশ্য আরও একটি ঘটনা ঘটে। কেষ্টর জুতো আচমকাই খুলে যায় তাঁর পা থেকে। সাংবাদিক-বেষ্টিত তৃণমূল নেতা খুলে যওয়া জুতোর নাগাল পাচ্ছিলেন না কিছুতেই। বেশ কয়েক বার ব্যর্থ হন। তার পরই মেয়েকে নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্ন এবং তার জবাবে কুপিত কেষ্ট।

সূত্রের খবর অনুব্রতের মেজাজের এই হঠাৎ বদল গত দু’দিন ধরেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বোলপুরের বাড়িতে আটক হওয়ার পর তাঁকে যতটা হতাশ দেখাচ্ছিল, ততটা হতাশ আর মনে হচ্ছে না তাঁকে। সিবিআই সূত্রে এ কথাও জানা গিয়েছে যে, গত দু’দিন ধরে তদন্তে সহযোগিতাও করছেন না অনুব্রত। ঘটনাচক্রে, দু’দিন আগে রবিবারই অনুব্রতের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, ‘‘অনুব্রতকে কেন গ্রেফতার করা হল? ও কী করেছে?’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.