সাত দিনের মাথায় শেষ হল জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগের সংঘর্ষ। সেনা জানিয়েছে, এই সংঘর্ষের মূল মাথা তথা লস্কর জঙ্গি উজেইর খান নিহত হয়েছে। আর এক জঙ্গির দেহ জঙ্গলে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। যদিও তার দেহ এখনও উদ্ধার করা হয়নি বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন কাশ্মীর পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি বিজয় কুমার। তবে তল্লাশি অভিযান এখনই বন্ধ করা হচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন এডিজি।
তিনি বলেন, “লস্কর কমান্ডার উজেইরকে খতম করা হয়েছে। তার দেহ এবং বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তল্লাশি এখনই বন্ধ করা হচ্ছে না। জঙ্গিরা সংখ্যায় ২-৩ জন ছিল মনে করা হচ্ছে। ফলে সব জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে কি না বা কোনও জঙ্গি ওই জঙ্গলে এখনও লুকিয়ে আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
এডিজি আরও বলেন, “এখনও পর্যন্ত এক জঙ্গির দেহ উদ্ধার হয়েছে। আরও এক জনের দেহ দেখা গিয়েছে। হয়তো আরও জঙ্গির দেহ মিলবে জঙ্গল থেকে। বেশ কিছু গোপন ডেরার হদিস মিলেছে ওই পাহাড়ে। সেগুলি ধ্বংস করার কাজ চলছে।” এই তল্লাশি অভিযানের সময় ওই জঙ্গলের কাছাকাছি বাসিন্দাদের না যাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে।
সেনা জানিয়েছে, লস্কর কমান্ডার উজেইর আহমেদ খান অনন্তনাগের নাগাম কোকেরনাগের বাসিন্দা। ২০২২ সালের ৬ জুলাই থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল এই লস্কর কম্যান্ডার। গোয়েন্দারা নিশ্চিত ছিলেন উজেইর জঙ্গি দলে নাম লিখিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে সেনা মনে করছে, উজেইর যে হেতু স্থানীয়, তাই কোকেরনাগের আনাচকানাচ ছিল তার নখদর্পণে। পাহাড়ি জঙ্গলও ছিল হাতের তালুর মতো চেনা। এটাও মনে করা হচ্ছে, এই সংঘর্ষের নেতৃত্বে ছিল উজেইরই।
গত বুধবার শুরু হয়েছিল অনন্তনাগের সংঘর্ষ। সেই সংঘর্ষ টানা ছ’দিন ধরে চলে। সোমবারই সেনার হামলায় মৃত্যু হয় লস্কর কমান্ডার উজেইরের। কিন্তু তার পরেও এই অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেনি সেনা। সপ্তম দিনেও তল্লাশি অভিযান চালায় কোকেরনাগের জঙ্গলে। সেই সময় এক সেনার দেহ উদ্ধার হয়। এক জঙ্গিরও ঝলসানো দেহ দেখা গিয়েছে। যদিও তার দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।