আজ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সদর ব্লকের গ্রামীণ বিজেপি পশ্চিম মন্ডলের অন্তর্গত ধেড়ুয়া অঞ্চল কমিটির পক্ষ থেকে একটি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন সম্মেলনের পর সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য সরকারের একাধিক সমালোচনা করেন।
কেশপুরে গোষ্ঠীকোন্দল ইস্যু নিয়ে তিনি বলেন,
কেশপুর নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। সমাজবিরোধীরাই রাজনীতিকে পরিচালনা করে। তারা সব তৃণমূলে ঢুকেছে। আগেরবার ওখানকার এমএলএকে দু’বছর বহিষ্কার করেছিল। এলাকায় আসেননি।
মা’য়ের মৃতদেহ কাঁধে করে বয়ে নিয়ে যাওয়া ইস্যুতে নিয়ে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বড় বড় কথা বলছেন। এই করেছেন ওই করেছেন। একটা গরিব মানুষের ডেড বডির জন্য অ্যাম্বুলেন্স দিতে পারছেন না। অন্য রাজ্যে দেখেছিলাম, তখন অনেক হইহই হয়েছিল। আজ যারা সাহায্য করতে আসছে তাদেরকে সাজা দেওয়া হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, জানি না তৃণমূল অভিযোগ করেছে কি না! কেউ কি তাদের নিজের নেতাদের ধরিয়ে দিতে চায় ? আমরা অভিযোগ করেছি কেন্দ্রীয় সংশ্লিষ্ট জায়গায়। আমরা চাই সঠিক তদন্ত হোক এবং দোষীরা শাস্তি পাক।
বিচারক অভিজিৎ গাঙ্গুলি, বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের বই প্রকাশ অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেতেই পারেন, মুখ্যমন্ত্রী জজের বাড়িতে যাচ্ছেন, জর্জের বাড়িতে ধুমকি দিচ্ছেন ওনারা গিয়ে। যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে যেতেই পারেন, জর্জরাও বিশিষ্ট নাগরিক। তাদের মতামত জানানোর দরকার আছে।
জলপাইগুড়িতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, মমতা ব্যানার্জি বড় বড় কথা বলেন, এই করে দেবো ওই করে দেবো। একটা মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য একটা অ্যাম্বুলেন্স দিতে পারে না। খালি প্রকল্প ঘোষণা করেন উনি, বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সাধারণ মানুষ তার স্বামী তার ছেলে ডেড বডি কাঁধে করে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে, অন্য রাজ্যে দেখেছিলাম অনেক হইহই হয়েছিল। আর যারা সাহায্য করতে আসেন তাদের সাজা দেওয়া হচ্ছে, এ সরকার কি ম্যাসেজ দিতে চাইছে? খুব ভয়াবহ অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের।