মাত্র সাতদিনের ব্যবধান,আরও একবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ। গোটা দিনের ঠাসা কর্মসূচির পর বিকেলেই আবার দিল্লি ফেরা। শহরে পা রাখার আগে চেনা ঢঙে বাংলায় বার্তা দিলেন অমিত শাহ। আজ রামকৃষ্ণ জন্মতিথিতে লিখলেন রামকৃষ্ণ পরমহংসের স্তুতি।
১৮৩৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি কামারপুকুরে জন্মগ্রহণ করেন গদাধর চট্টোপাধ্যায় তথা রামকৃষ্ণ পরমহংস। বাঙালির মন পেতে মরিয়া বিজেপি যখন সমস্ত রেনেসাঁ-সন্তান ও বাংলার মনীষিদের বন্দনা করছেন তখন রামকৃষ্ণই বা বাদ যাবেন কেন! এদিন শাহ ট্যুইটে লেখেন, “সমস্ত জগতকে ধর্ম আর আধ্যাত্মিকতায় প্রকাশিত করেছেন শ্রী শ্রী ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব,যিনি নিজের শিক্ষা আর বিচারধারা দিয়ে দেশকে একতার সূত্রে বেঁধেছেন। শ্রী শ্রী ঠাকুরের দেখানো পথ মানবতার জন্য অনুপ্রেরণার প্রদীপ,যার জ্যোতি অনন্তকাল ধরে মানব জীবনকে মার্গ দর্শন করে আসছে।”
আজ শহরে পা রেখেই বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন অমিত শাহ। নিউটাউনের একটি পাঁচতারা হোটেলে বৈঠক সেরেই তিনি যাবেন বালিগঞ্জ ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘে। এই আশ্রমে যাওয়ার পরিকল্পনা আগেও ছিল, সফর বাতিল হওয়ায় স্থগিত রাখতে বাধ্য হন শাহ। এরপর সরাসরি আরসিটিসি থেকে কপ্টারে গঙ্গাসাগর। নামখানায় পরিবর্তন রথে টান দেবেন অমিত শাহ। সেখান থেকে মধ্যাহ্নভোজ এক উদ্বাস্তু পরিবারে। কাকদ্বীপে একটি রোড শো-ও রয়েছে অমিত শাহের, যাবেন একটি শ্মশানকালীর মন্দিরে। রাতে কলকাতায় ফিরে অরবিন্দ ভবনে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে শাহের। গত রাতেই আহত হয়েছেন মন্ত্রী জাকির হোসেন। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে শহরে পা রেখে কী বার্তা দেন অমিত শাহ, সেইদিকেই নজর থাকবে সবার।
প্রসঙ্গত আজই দক্ষিণ ২৪ পরগনার পৈলানে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ডাকা হয়েছে। বিজেপির তরফে মমতা-অভিষেকের এই সভা ডাকার সমালোচনা করে বলা হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পায়ে পা লাগিয়ে সংঘাত বাধাবার জন্য এভাবে একই দিনে একই জেলায় সভা ডেকেছেন।