আর জি কর ইস্যুতে যাদবপুরে প্রতিবার মিছিলে কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদী স্লোগান উঠতেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র সরকার। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে। তারপরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয়। ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট দিল্লিতে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বলে খবর।
রবিবার রাতে কলকাতায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একটি প্রতিবাদ মিছিল থেকে বিতর্কিত স্লোগানটি ওঠে। তিলোত্তমার বিচার চাই, উই ডিমান্ড জাস্টিসের ব্যানারের তলায় আয়োজিত মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কিছু জন এই স্লোগান দিতে থাকে। যা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নজরে চলে আসে।
ঘটনার পরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে দ্রুত তদন্তের কাজ শুরু করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ইতিমধ্যেই প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট দিল্লিতে পাঠানো হয়। এই রিপোর্টে মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের পরিচয় তারা কোন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, স্লোগানটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত না স্বতঃস্ফূর্ত তার তথ্য উল্লেখ রয়েছে বলে খবর।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, সন্দেহ করা হচ্ছে যে, এই স্লোগান পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে। মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ২০ থেকে ২৫ জনের পরিচয় চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের ছবিসহ বিস্তারিত তথ্য পাঠানো হয়েছে। জানা যাচ্ছে, যাদবপুরের কয়েকজন প্রাক্তন ছাত্রের নাম তালিকায় রয়েছে। যারা বিভিন্ন সময়ে দেশ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিল বলে অভিযোগ।
কলকাতা পুলিশের তরফে পাটুলি থানায় দেশদ্রোহিতার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আইন শৃঙ্খলার রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট সক্রিয়। ঘটনা সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করে চলছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। তদন্ত চালিয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত রিপোর্ট দিল্লিতে পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই সময় জম্মু-কাশ্মীরের তৃতীয় দফার ভোট গ্রহণ চলছিল। ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির পরেই প্রথম ভোট সেখানে। সেই সময় কলকাতার মতো শহরে দেশবিরোধী স্লোগান উঠেছে। যা রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করতে পারে। কেন্দ্র সরকারের সন্দেহ, এই স্লোগানগুলি যারা দিয়েছে তারা কাশ্মীরের কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। তদন্তে এই সংযোগেরই খোঁজ চলছে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের দীর্ঘদিন ধরে দেশবিরোধী কার্যকলাপগুলির ওপর নজর রাখছে কেন্দ্র। বিশেষ করে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনীতি পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে যাতে দেশবিরোধী কোনো শক্তি যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গকে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।