“বাংলা থেকে ৩০ অসন জিতলেই পিসি ভাইপো সহ সমস্ত দুর্নীতিগ্রস্থ নেতা মন্ত্রীদের জেলের পিছনে পাঠাব”। শুক্রবার বিকেলে বীরভূমের রামপুরহাট বিধানসভার চাকপাড়া হাইস্কুল মাঠের দলীয় প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্যের সমর্থনে সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।
এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম সাংগঠনিক সভাপতি ধ্রুব সাহা, মহিলা মোর্চার জেলা সভানেত্রী রশ্মি দে সহ জেলা নেতৃত্ব। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অমিত শা আগাগোড়া রাজ্যের দুর্নীতি প্রসঙ্গ, সন্দেশখালির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। বলেন, “বীরভূমের এই লাল মাটিতে তুফান উঠবে”। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “মমতা দিদি এই জেলায় আপনার জন্ম। ১৫ বছর ধরে আপনি মুখ্যমন্ত্রী। অথচ জেলায় কোনো চাকরি নেই। জেলার যুবকদের কেন বাইরে কাজ করতে যেতে হয়? পাঁচটা সতীপীঠ। কিন্তু কোনো পর্যটন কেন্দ্র নেই। আমরা বীরভূমের দায়িত্ব নেব। মমতা দিদি এবার আপনার হিসাব নিকাশ করার সময় এসেছে”।
অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অনুব্রত মণ্ডল এখানে মস্তান ছিলেন। তিনি এখন তিহার জেলে হওয়া খাচ্ছে। এখনও সময় আছে সিন্ডিকেট বন্ধ কর। তা না হলে উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করে দেব। এটা একমাত্র বিজেপিই পারে”।
দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলেন, “কংগ্রেসের নেতার বাড়ির থেকে ৩০০ কোটি উদ্ধার হয়েছে। বাংলার মন্ত্রীর বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। ওই টাকা আপনাদের টাকা। দুর্নীতি করলে জেলে যেতে হবে। কাটমানি, দুর্নীতি রাজ্যের চিন্তার কারণ। বিজেপি এলে কাটমানি সিন্ডিকেট বাংলা ছেড়ে চলে যাবে”।
রাম মন্দির প্রসঙ্গে অমিত শা বলেন, “রাম মন্দির উদ্বোধনে সোনিয়া, রাহুল, মমতা, অভিষেকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারা যায়নি। কারণ ভোট ব্যাঙ্ক”। সন্দেশখালির প্রসঙ্গ টেনে অমিত শা বলেন, “সন্দেশখালির মহিলাদের সর্বনাশ করেছে তৃণমূল সরকার। মমতা রাজনৈতিক কারণে সব জেনেও রোখেনি। মহিলাদের শোষণ হতে দিয়েছে মমতা। ইডি না থাকলে আজ শোষিত হতেন মহিলারা”।
তিনি বলেন, “করোনার সময় সকলকে ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে। কাউকে পয়সা দিতে হয়েছে? বিনামূল্যে মোদি ব্যবস্থা করেছে। মোদী দেশকে সুরক্ষিত, সমৃদ্ধ করেছে। মমতা মিথ্যা বলছে। ঘর, রেশন, গ্যাস সব মোদী দিচ্ছে”। তিনি বলেন, “বাংলায় পরিবর্তন করতে হবে। অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে। শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে হবে”।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ভাইপো শ্যাম সিংহকে বীরভূমে পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিক করে পাঠিয়েছে। এখানে টুলু মণ্ডল তোলা তুলে তাঁর মাধ্যমে পাঠাচ্ছে। এছাড়াও নলহাটির রাজেন্দ্র প্রসাদ সিং, মুরারইয়ের আলি খান তোলা তুলছে। সেই টাকা তৃণমূলের ফাণ্ডে যাচ্ছে। আমরা ক্ষমতায় এলে তোলাবাজি বন্ধ করব। বাংলার কোনো বেকার যুবককে পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে বাইরে কাজ করতে যেতে হবে না। বাংলাতেই আমরা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করব”।