দক্ষিণ চিন সাগরে ক্রমাগত দাপট বাড়িয়ে যাচ্ছে চিন। বিষয়টিকে যে ভারত ও জাপান সহ বিভিন্ন দেশ খুব একটা ভাল চোখে দেখছে না তা বলাই বাহুল্য। এই পরিস্থিতিতে জলপথে নিরাপত্তা নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার একথা বলেছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে কোনও দেশের পক্ষেই জলপথে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
একইসঙ্গে অ্যাডমিরাল এও বলেন যে, যে সমস্ত দেশ মনে করে তাদের বিচারধারা সমান রয়েছে, তারা একসঙ্গে হাত মিলিয়ে সমুদ্র জলপথে তৈরি হওয়া বিভিন্ন চ্যালেঞ্জকে রুখে দেওয়ার পথে এগিয়ে যেতে পারে। সমুদ্রপথে নানান চ্যালেঞ্জকে উড়িয়ে দিতে বারবার সহযোগিতা ধর্মী দৃষ্টিকোণের পক্ষে সওয়াল করেন অ্যাডমিরাল। আর হরি কুমার বলেন, ‘আমরা একটা প্রতিস্পর্ধী বর্তমানে বাস করি, আর অনিশ্চিত ভবিষ্য়তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।’ উল্লেখ্য, রাইসিনা ডায়ালগে এক ইন্টারঅ্যাক্টিভ সেশনে এই বক্তব্য পেশ করেন নৌসেনা প্রধান। উল্লেখ্য, এদিনের অনুষ্ঠানে আমেরিকা,জাপান সহ বিভিন্ন দেশের সেনা আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এই অনুষ্ঠানে মুখ খোলেন মার্কিন নৌসেনা কমান্ডার জন অ্যাকুইলিনো বলেন যে চিন এবং রাশিয়ার মধ্যে বন্ধুত্বের কোন সীমা নেই, যা একটি অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। কারণ এই ঘটনা নিরাপত্তার প্রভাব ফেলতে পারে। মার্কিন কমান্ডার বলেছেন যে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রুশ পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাটো (উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা) তার শক্তি বাড়াচ্ছে এবং পরামর্শ দিয়েছেন যে ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য অনুরূপ মডেল তৈরির বিষয়ে। ভারতের নৌসেনা প্রধানের মতে সায় দিয়ে জন অ্যাকুইলিনো বলেন, যে সমুদ্রপথের যাবতীয় চ্যালেঞ্জকে মিটিয়ে দিতে এক মানসিকতা সম্পন্ন দেশগুলির উচিত একযোগে এগিয়ে চলা।