আমেরিকা (America) ইঙ্গিত দিয়ে বলেছে যে, ভারত (India) আর চীনের (China) মধ্যে সংঘর্ষ হলে আমেরিকার সেনা ভারতের পাশে থাকবে। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ভবন হোয়াইট হাউসের এক বরিষ্ঠ আধিকারিক জানান, যেখানেই সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে, সেখানে আমাদের সেনা উপস্থিত থাকবে। দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের শক্তি বাড়াতে আমেরিকা সেখানে দুটি এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার পাঠিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের চীফ অফ স্টাফ মার্ক মেডোস বলেন, আমাদের ইঙ্গিত স্পষ্ট। এরকম না যে, সর্বাধিক শক্তিশালী হওয়ার পর আমরা দূরে দাঁড়িয়ে থেকে পরিস্থিতি আমরা চীন অথবা অন্য কারোর হাতে যেতে দেখব, সেটা যেই ক্ষেত্রই হোক না কেন। আমাদের সেনা সবথেকে শক্তশালী ছিল, আছে আর থাকবে সেটা স্পষ্ট হওয়া দরকার।
মেডোসে বলেন, আমেরিকা দক্ষিণ চীন সাগরে নিজদের দুটি এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার পাঠিয়েছে। উনি বলেন, ‘আমাদের অভিযান এটা সুনিশ্চিত করবে যে, গোটা বিশ্ব জানুক আমাদের কাছে বিশ্বের সর্বাধিক শক্তিশালী সেনা আছে।” দক্ষিণ চীন সাগর আর পূর্ব চীন সাগরে আঞ্চলিক বিবাদ চরমে আছে। চীন প্রায় পুরো দক্ষিণ চীন সাগরকে নিজেদের বলে দাবি করছে। ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান এর মতো দেশ গুলোর এলাকা গুলোকেও নিজের বলে দাবি করছে চীন।
আরেকদিকে, ভারত কূটনৈতিক স্তরে বদল আনার মুডে নেই। দক্ষিণ চীন সাগর, হংকং, ওয়ান রোড ওয়ান বেল্ট প্রকল্পের বিরুদ্ধে ভারত বরাবরই বিরোধিতা জাহির করে এসেছে। ভারত করোনা এবং অন্য বিষয়ে চীনকে আলাদা করার ভূমিকা পালন করতে থাকবে। ভারত এটা বোঝাতে চাইছে যে, ভারতের জন্য বৈশ্বিক স্তরে কেউ সমস্যা সৃষ্টি করলে, তাদের সামনেও কোন বিকল্প রাখবে না নয়া দিল্লী।