শারীরিক অত্যাচারের সঙ্গে মহিলাদের মানসিক নির্যাতনও নিষ্ঠুরতা, শাস্তি নতুন ন্যায় সংহিতায়

ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস বুরোর সমীক্ষা অনুযায়ী, ভারতে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের বড় অংশই গার্হস্থ্য হিংসা। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির পরিবর্ত হিসেবে আনা প্রথম ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বিলের ৮৫ নম্বর ধারায় কোনও মহিলার উপরে তাঁর স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির কোনও সদস্যের অত্যাচার করার প্রমাণ পাওয়া গেলে তিন বছরের জেলের সুপারিশ করা হয়েছিল। সংশোধিত বিলে এরই সঙ্গে ৮৬ নম্বর ধারা যোগ করা হয়েছে। যাতে নিষ্ঠুরতার সংজ্ঞায় শারীরিক অত্যাচারের সঙ্গে মানসিক ভাবে যন্ত্রণা দেওয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই ধারা অনুযায়ী, কোনও ইচ্ছাকৃত ব্যবহারের কারণে যদি কোনও মহিলা আত্মহত্যা করেন বা তিনি শারীরিক ভাবে গুরুতর ভাবে চোট পান বা তাঁর জীবনহানির মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় কিংবা মানসিক বা শারীরিক স্বাস্থ্যের হানি হয় তখন তা নিষ্ঠুরতা হিসেবে গণ্য করা হবে।

এনসিআরবি-র তথ্য অনুযায়ী, মহিলাদের বিরুদ্ধে সার্বিক অপরাধের ঘটনা গত বছরের তুলনায় প্রায় চার শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সমীক্ষা জানিয়েছে অধিকাংশ মহিলার উপরে নির্যাতনের ঘটনার পিছনে রয়েছে গার্হস্থ্য হিংসা (৩১.৪%)।

পাশাপাশি ভারতীয় ন্যায় (দ্বিতীয়) সংহিতা বিলের ৭৩ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে ধর্ষিতা বা যৌন হেনস্থার শিকার হওয়া কারও নামধাম কিংবা পরিচয় আদালতের নির্দেশ ছাড়া সর্বসমক্ষে প্রকাশ করলে যিনি প্রকাশ করছেন তাঁর ২ বছর কারাবাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অনেক সময়েই সংবাদমাধ্যমে নির্যাতিতাদের নাম-ঠিকানা বা সেই নির্যাতিতাদের পরিবারের লোকেদের নাম প্রকাশ হয়ে পড়ে। এতে সামাজিক ভাবে অস্বস্তির মুখে পড়তে হয় গোটা পরিবারকে। তাই এ ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা রুখতে ওই আইন আনা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.