বিজেপি প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠল ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। সমাজ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যার সত্যতা যাচাই করেনি আমাদের ভারত। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে সাঁকরাইল ব্লকের তুঙ্গাধুঁয়া গ্রামে।
আহত বিজেপি প্রার্থী শুভঙ্কর মাহাতোকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার রাতেই তাকে দেখতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপি সভাপতি তুফান মাহাত।
জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে এলাকায় হট্টগোল হচ্ছে শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে ছিলেন সাঁকরাইলের ১১ নম্বর জেলা পরিষদের বিজেপি প্রার্থী শুভঙ্কর মাহাতো। সে সময় পুলিশের সাথে প্রথমে বচসায় জড়ান ওই বিজেপি প্রার্থী। এরপরই বিজেপি প্রার্থীকে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। তাঁর স্ত্রী এবং ছোট মেয়ের সামনেই তাঁকে মারধর করা হয়। তাঁর স্ত্রী প্রতিবাদ করায় তাঁকে সরে যেতে বলা হয়। মারধরের ফলে একসময় ক্যান্সার আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী শুভঙ্কর মাহাতো মাটিতে পড়ে যান। মারধরের ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল সোশ্যাল মাধ্যমে। আহত অবস্থায় শুভঙ্কর মাহাতো নামে ওই বিজেপি প্রার্থীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
আক্রান্তের পরিবারের অভিযোগ, মনোনয়ন পর্ব থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য বিজেপি প্রার্থীকে চাপ দিতে থাকে পুলিশ। একাধিকবার ধমকানো হয় তাকে। সোমবার দুপুরে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে পুলিশ তাঁকে মারধর করে। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছাড়া এলাকায়।
শুভঙ্কর বলেন, “তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য। তাকে চড় মেরেছে পুলিশ।” বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলার সহ-সভাপতি দেবাশীষ কুণ্ডু বলেন, “ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের ১১ নং আসনের বিজেপি প্রার্থী শুভঙ্কর মাহাতোকে সাঁকরাইল থানার ওসি মারধর করেছে। আমাদের প্রার্থী নিজে ক্যান্সার আক্রান্ত। এই মুহূর্তে গুরুতর জখম অবস্থায় উনি মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আমরা আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানাবো”।
তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম জেলা সহ সভাপতি প্রসূন সরঙ্গী বলেন, “ওই এলাকায় তৃণমূল শক্তিশালী। প্রশাসন নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করছে। কি কারণে কী ঘটনা ঘটেছে তা প্রশাসন বলতে পারবে।” ঝাড়গ্রাম জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সরকার বলেন, “কী ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”