অর্থ দফতর হাতছাড়া হল মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের। তা গেল মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের মন্ত্রিসভার আর এক উপমুখ্যমন্ত্রী, ‘বিদ্রোহী’ এনসিপি নেতা অজিত পওয়ারের কাছে। অর্থের পাশাপাশি, অজিত শিবিরের মন্ত্রীরা পরিকল্পনা, খাদ্য ও সরবরাহ, কৃষি, সমবায়, নারী এবং শিশুকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন, ডাক্তারি শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতর পেয়েছেন শুক্রবার।
গত রবিবার অজিত-সহ ন’জন এনসিপি বিধায়ক মহারাষ্ট্রের শিন্ডেসেনা-বিজেপি জোট সরকারের মন্ত্রিপদে শপথ নিয়েছিলেন। দলের সভাপতি শরদ পওয়ারের অনুমোদন ছাড়াই তাঁদের এই পদক্ষেপের জেরে এনসিপিতে ভাঙনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অজিত-সহ বিদ্রোহীদের বহিষ্কার করেছেন শরদ। অন্য দিকে, কাকাকে সরিয়ে দলের সভাপতি হিসাবে নিজের নাম ঘোষণা করেছেন অজিত। এনসিপি নাম এবং প্রতীক চেয়ে দুই গোষ্ঠীই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে।
বিধায়ক সংখ্যার হিসাবে অবশ্য অজিত শিবিরের পাল্লা ভারী বলে মনে করা হচ্ছে। মহারাষ্ট্র বিধানসভায় এনসিপির বিধায়ক সংখ্যা ৫৩। দলত্যাগবিরোধী আইন এড়াতে অজিত গোষ্ঠীর প্রয়োজন ৩৬ জন বিধায়কের সমর্থন। অজিতের দাবি, ৪০ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। তবে সংসদের দু’কক্ষের ন’জন সাংসদের মধ্যে ছ’জনই শরদকে সমর্থন জানিয়েছেন বলে তাঁর শিবিরের দাবি। এনডিএতে অজিত গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তিতে শিন্ডে শিবিরের বড় অংশই ‘অখুশি’ বলে রাজনৈতিক সূত্রের খবর। গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলির অধিকাংশই বিজেপি এবং অজিতগোষ্ঠীর হাতে চলে যাওয়ায় শিন্ডেশিবির কিছুটা গুরুত্বহীন হয়ে পড়ল বলেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মত।