AIR India Pilot Case: অতিরিক্ত চাপ? বিমানের ককপিট থেকেই মহাশুন্যের পথে! সাদা মেঘের ভেলায় ভেসে গেলেন…

অতিরিক্ত কাজের চাপ এখন সকলেরই জীবনে। বিশেষত যাঁরা প্রাইভেট কোম্পানির কর্মী। বিমান সংস্থার সঙ্গে জড়িত পাইলট বা অন্যান্য কর্মীদের কাজের চাপের কথা সবাই জানে। এয়ারহোস্টেস বা অন্যান্য কর্মীরা ছুটি বা বিশ্রাম পেলেও পাইলটদের অমানুষিক কাজের চাপ মাঝে মাঝে অবাক করে। আর সেই অতিরিক্ত কাজ এবং চাপের ফলেই আকাশ থেকেই আকাশে বিলীন হয়ে গেলেন এক পাইলট।

৯ এপ্রিল শ্রীনগর থেকে দিল্লি অবতরণের পর নিউদিল্লির এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের পাইলটের হঠাত্‌‍‍‍‍ হার্ট অ্যাটাক হয়। ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানটি অবতরণের কিছুক্ষণ পরেই এই ঘটনা ঘটে। দিল্লিতে নামার পরই পাইলট অসুস্থ বোধ করেন এবং তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সহকর্মী এবং বিমান সংস্থার কর্মীরা পরে জানান যে, অবতরণের পরই ‘পাইলট আরমান’ ককপিটের ভেতরে বমি করেছিলেন। আর তারপরেই সব শেষ।

এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের তরফে জানানো হয় একজন মূল্যবান সহকর্মীর শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁর মৃত্যুতে সকলেই গভীরভাবে শোকাহত। গভীর শোকের এই সময়ে তারা তাঁর পরিবারের সঙ্গে   রয়েছে। এই বিশাল ক্ষতি মোকাবিলায় বিমান সংস্থা তাঁর পরিবারকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। 

পাইলটদের জন্য যথাসম্ভব বিশ্রাম নেওয়ার নতুন নিয়ম তৈরি হয়েছিল কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। পাইলটদের ক্লান্তি মোকাবিলায় সপ্তাহে ৩৬ থেকে ৪৮ ঘন্টা এবং রাতের ফ্লাইটের ১৩ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ১০ ঘন্টা করার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু এই নিয়ম এখন অবধি কার্যকর হয়নি। উপরন্ত প্রতিটি বিমান সংস্থাতেই ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বেশি পাইলট নিয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথা এর আগে বলা হয়েছিল। কিন্তু নিয়মের গেঁরোয়ে তাও এখন বিঁশবাও জলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.