আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যে এক দিন সকলের মুখের গ্রাস কেড়ে নেবে, সে খবর কানাঘুষো ছিলই। জন্মের পর থেকে হামাগুড়ি দিতে দিতে তথ্যপ্রযুক্তি, ব্যবসা, শিল্প-সংস্কৃতি, শিক্ষা এমনকি চিকিৎসা ক্ষেত্রেও এআই তার ডালপালা বিস্তার করেছে। কিছু দিন আগে এআই চালিত সংবাদপাঠিকার ছবি, ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছিল সমাজমাধ্যমে। এ বার গোটা একটি সংবাদ সংস্থা পরিচালনা করবে এআই। সৌজন্যে নিউ দিল্লি টেলিভিশন (এনডিটিভি)-এর প্রাক্তন অধিকর্তা প্রণয় রায়। লোকসভা নির্বাচনের আগেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ আনলেন তিনি। নাম ‘ডিকোডার’।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, এআই পরিচালিত ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ ‘ডিকোডার’ নির্বাচন থেকে নস্ত্রাদামুস— মোটামুটি সব বিষয়ের খবর পাঠকদের কাছে এনে দেবে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোকপাত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছে এই ওয়েবসাইট। তবে এখানেই শেষ নয়। দেশ-বিদেশের জটিল খবর সাধারণ পাঠকের কাছে সহজ, সাবলীল করে তুলতে ১৫টি আঞ্চলিক ভাষায় তা অনুবাদ করা থাকবে বলে জানা গিয়েছে। ক্ষুরধার বুদ্ধিসম্পন্ন, দক্ষ অনুবাদক ছাড়াই এতগুলি ভাষায় খবর অনুবাদ করে দেবে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। পক্ষপাতদুষ্ট না হয়ে, একেবারে নিরপেক্ষ ভাবে খবর পরিবেশন করার ক্ষেত্রে এআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেই আশা প্রকাশ করেছেন অনেকে।
এনডিটিভি-র ভবিষ্যৎ আদানি গোষ্ঠীর হাতে চলে গিয়েছে বছর খানেক আগে। তার পরেই এনডিটিভি-র পরিচালন সংস্থার অধিকর্তা পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন প্রণয় রায়। সংস্থার ডিরেক্টর পদ থেকে সরে গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী রাধিকা রায়ও। বছর ঘুরতেই ‘ব্রেকিং’ খবর নিয়ে হাজির প্রণয়। তবে এই প্রথম নয়। ‘ডিকোডার’-এর জন্মের আগেই কাজ শুরু করে মাইক্রোসফ্টের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত চ্যাটবট ‘নিউজ়জিপিটি’। ‘ডিকোডার’ কী ভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করে এগিয়ে যায়, এখন সেটাই দেখার।