অগ্নিপথ নিয়ে যখন বিক্ষোভে উত্তাল দেশ, ঠিক তখন সেনাবিভাগের এক শীর্ষকর্তা জানিয়ে দিলেন, অগ্নিপথ প্রকল্প কোনও ভাবেই প্রত্যাহার করা হবে না। এ ব্যাপারে যেন কেউ কোনও ভুল ধারণা পোষণ না করেন।
কারণ ব্যাখ্যা করে ওই কর্তা জানিয়েছেন, কেন্দ্র বহু দিন ধরেই ভারতীয় সেনাবাহিনীতে তারুণ্য এবং অভিজ্ঞতার মিশেল ঘটানোর চেষ্টা করছে। দীর্ঘ চেষ্টার পর অবশেষে তা বাস্তবায়িতও হয়েছে। এখন এই প্রকল্প প্রত্যাহারের প্রশ্নই ওঠে না। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওই কর্তা বুঝিয়ে দিয়েছেন, দেশে যা-ই ঘটুক, কেন্দ্র এই নতুন প্রকল্প নিয়ে কোনও ভাবেই পিছু হঠবে না।
রবিবার নয়াদিল্লিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দফতরে অগ্নিপথ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সেনা বিষয়ক দফতরের অতিরিক্ত সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন। সেখানেই এক প্রশ্নের জবাবে অনিলকে বলতে শোনা যায়, ‘‘কেন অগ্নিপথ প্রকল্প প্রত্যাহার করা হবে? দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটি প্রকল্প থেকে কেন পিছিয়ে আসব আমরা?’’
সেনাবাহিনীতে চার বছরের চুক্তির ভিত্তিতে সেনা নিয়োগের প্রকল্প অগ্নিপথ গত সপ্তাহেই ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। তার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের তরুণ এবং ছাত্রেরা বিক্ষোভ এবং আন্দোলনে নেমেছেন। রাজ্যে রাজ্যে নষ্ট করা হয়েছে সরকারি সম্পত্তি, অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে একের পর এক ট্রেনে, বাসে। এই পরিস্থিতিতে তীব্র হয়েছে অগ্নিপথ নিয়োগ প্রকল্প প্রত্যাহারের দাবি। এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে জানতে চাওয়া হলে অনিল বলেন, ‘‘দেশের নিরাপত্তার কথা ভেবেই তারুণ্যকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। দেশের নিরাপত্তা যখন বিচার্য তখন পিছিয়ে আসার প্রশ্নই নেই।’’
উল্লেখ্য, এর আগে কৃষি আইন নিয়েও একই রকম অনমনীয় মনোভাব দেখিয়েছিল কেন্দ্র। যদিও শেষ পর্যন্ত কৃষকদের আন্দোলনের কাছে কেন্দ্রকে মাথা নোয়াতে হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন, এ ক্ষেত্রেও তেমনই হবে না তো!