রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হুঁশিয়ারির পরেও আমেরিকার জোগান দেওয়া ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইউক্রেন, এমনটাই দাবি রাশিয়ার। তার পরেই পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। গত সপ্তাহে প্রথম বার রাশিয়া লক্ষ্য করে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র (ইন্টার-কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল, সংক্ষেপে আইসিবিএম) ছুড়েছিল ইউক্রেন। তার পরেই কিভ-সহ পশ্চিমের দেশগুলিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পুতিন। এ বার রাশিয়া দাবি করল, তাদের সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে কিভ।
সম্প্রতি আমেরিকা রাশিয়ার ভিতরে দূরপাল্লার ক্রুজ় ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার অনুমতি দিয়েছে ইউক্রেনকে। একই কাজ করেছে ব্রিটেনও। ব্রিটেন-আমেরিকার ছাড়পত্র মেলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়ার মাটিতে আমেরিকার পাঠানো এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ও ব্রিটেনের ‘স্টর্ম শ্যাডো’ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইউক্রেন। রাশিয়া তার জবাবও দিয়েছে। তার পর পুতিন কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। রাশিয়ার দাবি, তার পরেও আবার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইউক্রেন। ২৩ নভেম্বরের পরে ২৫ নভেম্বর রাশিয়ার পশ্চিম কার্স্ক অঞ্চলে সেনা ঘাঁটি এবং বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে কিভ। এতে পরিকাঠামোর কিছু ক্ষতি হয়েছে।
প্রথম বার ইউক্রেনের হামলায় কী ক্ষতি হয়েছিল, তা নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি রাশিয়া। তবে দ্বিতীয় হামলায় দু’জন আহত হয়েছেন বলে স্বীকার করেছে তারা। এই ধরনের স্বীকারোক্ত রাশিয়ার তরফে খুব একটা মেলে না। তবে এর পাশাপাশি মস্কোর তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, পাল্টা হামলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে তাদের বাহিনী। তারা এ-ও দাবি করেছে, প্রথম বার ইউক্রেন যে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল, সেই পাঁচটির মধ্যে তিনটি গুলি করে নামানো হয়েছে। দ্বিতীয় বারে ইউক্রেনের ছোড়া আটটি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে সাতটিই ধ্বংস করা হয়েছে। মঙ্গলবার ইউক্রেন সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, এক রাতে তাদের দেশে ১৮৮টি ড্রোন হামলা করেছে রাশিয়া। যার জেরে দেশের পূর্বে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।