আবারও ছেলেধরা সন্দেহে এক যুবককে মারধর করে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া পাতকাটা কলোনির একাংশ বাসিন্দার বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানায় পুলিশ। আটক যুবকের নাম জয়দেব গোয়ালা, বাড়ি ময়নাগুড়ির রানিরহাট গ্রামে বলে জানা গিয়েছে।
প্রায় দিনই ছেলেধরা গুজবের ঘটনা ঘটছে জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকায়। এর আগেও গণপিটুনি দেওয়ার অভিযোগ উঠে মানসিকভারসাম্যহীন মহিলাকে ও ভরঘুরেকে। বুধবার পাতকাটা কোলনি এলাকায় অপরিচিত তিন যুবক ঘুরাঘুরি করছিল ও গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে যাচ্ছিলো বলে দাবি। তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক থাকায় এলাকার বাসিন্দারা ওই যুবকদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। গ্রামবাসীর দাবি, যুবকদের সঙ্গে দামি মোবাইল ও একটি কৌটো ছিল। বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে টাকা চাইছিল। গ্রামবাসীরা জিজ্ঞাসাবাদ করলে যুবকদের কথাবার্তা সন্দেহজনক লক্ষ্য করা যায়। এরই মধ্যে তিন যুবকের মধ্যে দুই যুবক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়, এক যুবককে ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। কী উদ্দেশে তারা গ্রামের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছিলো, তার সঠিক উত্তর ওই যুবকরা দিতে পারেনি বলে দাবি। এরপরেই ছেলেধরা সন্দেহে ক্ষিপ্ত জনতা আটক যুবককে মারধর করে বলে অভিযোগ। ওই যুবক পালিয়ে যেতে যেন না পারে এর জন্য বেঁধে রাখা হয়।
আটক যুবক জয়দেব গোয়ালা বলেন, “আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঝাড়ু দিয়ে পাঁচ টাকা দশটা করে নিই। আমাকে গ্রামবাসীরা ধরে ফেলেছে ছেলেধরা সন্দেহে।”
পাতকাটা আর আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শুভঙ্কর ভৌমিক বলেন, “ছেলেধরা একটা আতঙ্ক রয়েছে। এরই মধ্যে তিন যুবক গ্রামে এসে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছিল। সন্দেহ হতেই আটকে রেখেছে গ্রামবাসীরা।”
এক গ্রামবাসী চিরঞ্জিৎ কুন্ডু বলেন, “যুবকের কথাবার্তা সন্দেহজনক, এই কারণে তাকে আটকে বেঁধে রাখা হয়েছে। উত্তেজিত জনতা চর থাপ্পড় দিয়েছিল। আমি পুলিশকে জানিয়েছি।” পুলিশ জানায়, যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।