লোকসভা ভোটে বাংলায় দলের বিপর্যয় ঘটেছে। তার পর রাজ্য কমিটির প্রথম বৈঠক ডাকল বিজেপি। আগামী ১৭ জুলাই, বুধবার কলকাতায় ওই বৈঠক হবে। বঙ্গ বিজেপি সূত্রে খবর, সেই বৈঠকে থাকবেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। আগামী দিনে রাজ্যে বিজেপির নীতি কী হবে, বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
কলকাতার সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে বিজেপির বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। বর্ধিত আকারে রাজ্য কমিটির বৈঠক হবে বুধবার। জেলা সভাপতি, জেলা ইন-চার্জ-সহ দলের সর্বস্তরের নেতাদের বৈঠকে ডাকা হয়েছে। থাকবেন রাজ্য স্তরের সমস্ত মোর্চা এবং শাখা সংগঠনের সদস্যেরা।
এ বারের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ৪২টির মধ্যে মাত্র ১২টি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি। যা গত বারের চেয়েও কম। তবে বুধবারের বৈঠকে ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করা হবে না বলেই খবর রাজ্য বিজেপি সূত্রে। বরং আগামী দিনে দল কী করবে, রাজনীতির ক্ষেত্রে বাংলায় বিজেপি কোন অঙ্ক ধরে এগোবে, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে ওই বৈঠকে।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই স্থির করেছে, প্রতি রাজ্যে একটি করে রাজ্য কমিটির বৈঠক হবে। তাতে উপস্থিত থাকবেন অন্তত এক জন করে কেন্দ্রীয় নেতা। আগামীর দিশা ঠিক করাই এই বৈঠকের উদ্দেশ্য হতে চলেছে। বিজেপি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব হিসাবে বাংলার রাজ্য কমিটির বৈঠকে থাকতে পারেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। যদিও তাঁর কলকাতায় আসার বিষয়ে এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি। এ ছাড়া, থাকতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসলও। তবে দলের তরফে নিশ্চিত করে এখনও এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
লোকসভা নির্বাচনের পর বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা আগামী ১৪ জুলাই রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসবেন। সেই মর্মে আদালতের অনুমতিও মিলেছে। তবে মনে করা হচ্ছে, এ বার সর্বস্তরেই দলকে আন্দোলনমুখী করতে চাইছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
বুধবারের বৈঠকের ধরন নিয়ে রাজ্যের নেতাদের মধ্যেই ধন্দ রয়েছে। বঙ্গ বিজেপির অনেক নেতাই বলছেন, দলের নীতি, হারের পর্যবেক্ষণ নিয়ে সকলে বক্তব্য জানাতে পারবেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। এমনও হতে পারে, মঞ্চে নেতারা বলবেন, বাকিদের নীচে বসে তা শুনতে হবে। ফলে এটি বৈঠক না সভা, তা এখনও স্পষ্ট নয় অনেকের কাছেই।