আর জি করে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ খুনের ঘটনায় তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে শনিবার রাতের টালা থানার ওসি অভিজিৎ মন্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। দুর্নীতির অভিযোগে ধৃত আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও ছাত্রীকে ধর্ষণ খুনের ঘটনায় তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। ‘এরপর কার পালা?’ মধ্যরাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি আইটি সেলের নেতা অমিত মালব্য।
সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মন্ডলকে আড়াল করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী এবং কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে দায়ী করেছেন অমিত মালব্য। তিনি লিখেছেন, গ্রেফতারি এড়াতে অভিজিৎ বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করেছিল, পুলিশের হুমকি সত্ত্বেও তা অগ্রাহ্য করেছিল হাসপাতালগুলো। ছাত্রীকে ধর্ষণ খুনে ঘটনাতে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা এবং নির্যাতিতার মা বাবা।
এ ব্যাপারে অমিত মালব্য সহমত পোষণ করে লিখেছেন, কলকাতার পুলিশ কমিশনারও ধৃত সঞ্জয়ের পরিচয় প্রকাশ করতে এবং অপরাধ ধামাচাপা দিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিতকে গ্রেফতারের পর কি এবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরবর্তী লাইনে আছেন?
প্রসঙ্গত টালা থানার ওসিকে সিবিআই গ্রেপ্তার করার পর এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে দিলীপ ঘোষ অনেকেই।