লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চুসুলের মোল্ডোতে সেনা আধিকারিক পর্যায়ের ১৩তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় রবিবার। তবে এই বৈঠকের পরও সীমান্ত সমস্যা নিয়ে কোনও সমাধান সূত্র মিলল না। বরং চিন রয়েছে চিনেই। ১৩তম বৈঠকের পর ফের একবার লাদাখ সমস্যা নিয়ে ভারতের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে খালাস চিন। চিনা সরকারের মিডিয়া ‘গ্লোবাল টাইমস’ অনুযায়ী, চিনা ওয়েস্টার্ন কমান্ড বৈঠকের পর জানিয়েছে, ভারত নাকি অযৌক্তিক এবং অবাস্তব দাবির উপর জোর দেয়, তাই আলোচনা করতে তাদের অসুবিধা হচ্ছে
চিনা সেনার তরফে ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের মুথপাত্র বৈঠকের বিষয়ে বলেন, ‘সীমান্তে পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে প্রচেষ্টা চলছে এবং দুই সামরিক বাহিনী নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য সম্পূর্ণরূপে আন্তরিকতা প্রদর্শন করেছে।’ চিনের তরফে আরও ‘আশা’ ব্যক্ত করা হয়, ‘ভারত আন্তরিকতা দেখাবে, পদক্ষেপ নেবে এবং সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা যৌথভাবে রক্ষার জন্য চিনের সাথে কাজ করবে।’
পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় বিগত ১৬ মাস ধরে একটানা সীমান্ত সমস্যা চলছে ভারত আর চিনের মধ্যে। বিতর্কিত অঞ্চল থেকে সেনা সরানো নিয়ে ১৩টি বৈঠক হয়ে গিয়েছে দু’দেশের সামরিক আধিরকারিকদের মধ্যে। তবে সমাধান সূত্র এখনও বেরিয়ে আসেনি। সূত্রের খবর, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় এখনও পর্যন্ত মোটামুটি ১৮টি বিতর্কিত পয়েন্টকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই স্থানগুলি সংক্রান্ত যাবতীয় বিবাদ ধাপে ধাপে মেটাতে চাইছে ভারত।
এদিকে লাদাখের উত্তাপ ছড়িয়েছে অরুণাচলপ্রদেশেও। সেখানে কয়েকদিন আগেই চিনের পিপল’স লিবারেশন আর্মি-র ২০০ জন সেনাকে সীমান্ত পার করা থেকে বিরত রাখেন ভারতীয় জওয়ানরা। এলএসি-র তাওয়াং সেক্টরে ইয়াংসে-র কাছে মুখোমুখি হয় দুই সেনা। তবে ঘটনায় কোনও হতাহতের বা ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।