ভিনরাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকেরা খুন হয়েছেন হামেশাই। অমরনাথ, বৈষ্ণোদেবী বা অন্যান্য ধর্মস্থানে আগত পুণ্যার্থীরাও বার বার হামলার শিকার হয়েছেন। কিন্তু প্রায় দু’দশকের ব্যবধানে কাশ্মীর উপত্যকার এত বড় হামলার শিকার হলেন পর্যটকেরা। দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ে মঙ্গলবার বিকেলে সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৬ পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনা তাই কিছুটা ব্যতিক্রমী বলেই মনে করছেন অনেকে।
২০০৬ সালের ২৬ মে শ্রীনগরের উপকণ্ঠে জাকুরার বাটাপোরা এলাকায় সন্ত্রাসীবাদীরা একটি পর্যটক বোঝাই বাসে গ্রেনেড ছুড়লে চার জন পর্যটক নিহত এবং ছ’জন আহত হয়েছিলেন। নিহতেরা ছিলেন গুজরাটের বাসিন্দা। ঘটনাচক্রে, সে সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সে বছরেরই ১১ জুলাই শ্রীনগরেরই লালচকে পর্যটক বোঝাই বাসে ফের গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। ওই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন এক জন। সে দিন শ্রীনগরের বিভিন্ন প্রান্তে পাঁচটি হামলায় মোট আট জনের মৃত্যু হয়েছিল।
দু’দশক আগেকার ওই জোড়া হামলার সময় জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। বর্তমানে তিনি ‘বিজেপির ঘনিষ্ঠ’ হিসেবেই পরিচিত। ২০০৬ সালের ওই দু’টি হামলার ক্ষেত্রেই জড়িত ছিল পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লশকর-ই-ত্যায়বা। মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ে হামলার দায় স্বীকার করে ইতিমধ্যেই বিবৃতি দিয়েছে লশকরের ‘ছায়া সংগঠন’ ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)। গত বছর জুন মাসে লোকসভা ভোট মেটার পরেই রিয়াসি জেলার শিবখোদা মন্দির থেকে কাটরাগামী পুণ্যার্থীদের বাসে হামলা চালিয়েছিল টিআরএফের জঙ্গিরা। ওই হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছিলেন। অমরানাথ তীর্থযাত্রা ভেস্তে দিতে অবশ্য বারেবারেই হামলা চালিয়েছে লশকর। ২০১৭ সালে সাত মহিলা-সহ আট পুণ্যার্থীকে খুন করেছিল তারা।