প্রায় ৩০ ঘণ্টা পরে মঙ্গলবার রাতে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-র দফতর থেকে বার হলেন আটকে থাকা কর্মীরা। সোমবার রাত থেকে দফতর ঘেরাও করে রেখেছিলেন ‘অযোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীরা। কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের সঙ্গে বৈঠকের পরে ঘেরাও তুলে নেন তাঁরা। তার পরেই ছাড়া পান দফতরের কর্মীরা। এর আগে মঙ্গলবার ছাড়া পান এসএসসির সচিব অমলেশ রাউত-সহ ১২ জন কর্মী। আদালতে হাজির দেওয়ার কথা ছিল রাউতের।
সল্টলেকের আচার্য সদনে এসএসসির দফতরের বাইরে গত বুধবার থেকে অবস্থান করছেন ‘অযোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীরা। সোমবার তাঁরা দাবি তোলেন, এসএসসির চেয়ারম্যানকে দেখা করতেই হবে। তাঁদের বিক্ষোভের কারণে দফতরে আটকে পড়েন এসএসসির সচিব-সহ কর্মীরা। মঙ্গলবার আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল সচিবের। তাই তাঁকে ছাড়া হয়। পাশাপাশি এক জন অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে এবং আরও ১০ জন মহিলা আধিকারিককেও ছাড়া হয়।
মঙ্গলবার রাতে এসএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকের পরে বাকি কর্মীদেরও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান থেকে সরছেন না তাঁরা। আন্দোলনকারী কমলেশ কাপাট বলেন, ‘‘আমাদের সদর্থক বৈঠক হয়েছে। তিনি (চেয়ারম্যান) দিল্লি যাবেন। আইনজীবীদের সঙ্গে আমাদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন। তবে আমরা আন্দোলন থেকে সরছি না।’’ এ প্রসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ বলেন, ‘‘ওঁরা ওঁদের দাবি নিয়ে এসেছিলেন। আমরা দাবি শুনেছি। আইনি পরামর্শ গ্রহণ করা হবে। এর বাইরে আমি এই বৈঠক নিয়ে আর কিছু বলব না।’’