গাজ়া, লেবানন, ইরানের পর ইজ়রায়েলের নিশানায় এ বার ইয়েমেন, হামলা বিদ্রোহী হুথিদের ঘাঁটিতে

বুধবার রাতে ইজ়রায়েলি ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইয়েমেনের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি বাহিনী। জবাবে বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই পূর্ব আফ্রিকার গৃহযুদ্ধ দীর্ণ দেশে ধারাবাহিক ভাবে বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইজ়রায়েলি সেনা।

হুথি গোষ্ঠী পরিচালিত আল মাসিরা টিভি চ্যানেল জানিয়েছে, ইজ়রায়েলি হামলায় ইয়েমেনে ন’জন সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বন্দরনগরী সালিফে সাত এবং রাস ঈশা জ্বালানি মজুত ক্ষেত্রে বাকি দু’জন। দু’টি জায়গাই ইয়েমেনের পশ্চিমাঞ্চলের হোদেইদাহ প্রদেশে অবস্থিত হুথি নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল। এর ফলে গাজ়া, লেবানন, ইরান-সহ পশ্চিম এশিয়ার পরিসর ছাড়িয়ে আফ্রিকায় যুদ্ধের আঁচ পৌঁছতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজ়া ভূখণ্ডে ইজ়রায়েলি হামলা শুরুর পরে ইরানের মদতপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি গত নভেম্বর থেকেই ইয়েমেন উপকূল থেকে ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে লোহিত সাগরগামী বাণিজ্যিক জাহাজগুলির উপর। আক্রান্ত হয়েছে কয়েকটি ভারতীয় জাহাজও। পাশাপাশি, ইজ়রায়েল ভূখণ্ড নিশানা করেও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে চলেছে তারা। চলতি মাসেও হাইপারসনিক (শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ বা তার বেশি গতিসম্পন্ন) প্যালেস্টাইন-২ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইজ়রায়েলে হামলা করেছিল তারা।

পশ্চিম এশিয়ায় মোতায়েন আমেরিকা সেনা হুথিদের বিরুদ্ধে এর আগে হামলা চালিয়েছিল। সৌদি আরবের মদতপুষ্ট ইয়েমেনের সুন্নি মুসলিমগোষ্ঠীর সরকার শিয়া বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু রাজধানী সানার উত্তরের বিভিন্ন অংশ এখনও হুথিদের নিয়ন্ত্রণে। ইরানের পাশাপাশি লেবাননের শিয়া গোষ্ঠী হিজ়বুল্লার থেকেও তারা অস্ত্রসাহায্য পায় বলে পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.