উত্তপ্ত সন্দেশখালিতে এসে পৌঁছল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দল। সন্দেশখালি এলাকার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখবেন মানবাধিকার কমিশনের আধিকারিকরা। কথা বলবেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে। শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ একটি লঞ্চে চেপে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ওই দল। শুক্রবারও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল গিয়েছিল সন্দেশখালি। এর আগে এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সন্দেশখালি পৌঁছেছিল জাতীয় তফসিলি কমিশনের প্রতিনিধি দল। সেখানে ওই প্রতিনিধি দলকে নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে বলে অভিযোগ ছিল প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সন্দেশখালিকাণ্ডে অশান্ত এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছিল জাতীয় মহিলা কমিশনও। সন্দেশখালির ‘নির্যাতিতা’দের সঙ্গে কথা বলতে সেখানে গিয়েছিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান রেখা শর্মা। সন্দেশখালি ঘুরে জাতীয় তফসিলি কমিশন এবং জাতীয় মহিলা কমিশন— উভয়েই রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছিল।
সন্দেশখালি ঘুরে দেখে এসেছিল পশ্চিমবঙ্গ শিশু সুরক্ষা কমিশনও। ছ’জন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সন্দেশখালিতে গিয়েছিল। সেই দলে ছিলেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাস, পরামর্শদাতা সুদেষ্ণা রায়-সহ মোট ছ’জন প্রতিনিধি। ঘুরে ঘুরে গ্রামগুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তাঁরা। এর পর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও পৌঁছল উত্তপ্ত সন্দেশখালিতে। জাতীয় আদিবাসী কমিশনের একটি দলেরও শীঘ্রই সন্দেশখালি পৌঁছনোর কথা। উল্লেখযোগ্য, বাম নেত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ও শনিবার সন্দেশখালি গিয়েছেন।
স্থানীয়দের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের জেরে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি। গত ৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল সন্দেশখালিতে। তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনার পর থেকে পলাতক শাহজাহান। সম্প্রতি আবার উত্তপ্ত হয়েছে সন্দেশখালি। শাহজাহান-ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে পথে নেমেছেন স্থানীয়দের একাংশ। দফায় দফায় সেখানে অশান্তি, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক মামলা হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে।