মেলবোর্ন টেস্টে বল হাতে একাধিক নজির গড়লেন জসপ্রীত বুমরাহ। ট্রেভিস হেডকে আউট করে টেস্ট ক্রিকেটে ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি। ভাঙলেন কপিল দেবের একটি রেকর্ডও।
টেস্ট ক্রিকেটে ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করার ক্ষেত্রেও একাধিক নজির গড়েছেন বুমরাহ। কেন তাঁকে বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার বলা হয়, তা আরও এক বার বুঝিয়ে দিলেন। বুমরাহ লাল বলের ক্রিকেটে এই মাইলফলক স্পর্শ করার পথে উইকেট পিছু খরচ করেছেন ১৯.৫৬ রান। অর্থাৎ, উইকেট প্রতি ২০ রানও খরচ করেননি। টেস্টে ২০০টি উইকেট রয়েছে এমন বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে কম রান খরচ করার নজিরও গড়েছেন তিনি। বুমরাহ ভাঙলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের প্রাক্তন ক্রিকেটার জোয়েল গার্নারের নজির। তিনি ২০.৩৪ গড়ে ২০০ টেস্ট উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন। সব মিলিয়ে গার্নারের গড় অবশ্য ২০.৯৭। আরও দুই ক্যারিবিয়ান বোলারকে টপকে গিয়েছেন বুমরাহ। তাঁরা হলেন ম্যালকম মার্শাল (২০.৯৪) এবং কার্টলে অ্যামব্রোজ (২০.৯৯)
বুমরাহ টেস্টে ২০০ উইকেট পূর্ণ করতে ৮৪৮৪টি বল করেছেন। এত কম বল করে ভারতের আর কোনও বোলার টেস্টে ২০০ উইকেট পাননি। এ ক্ষেত্রে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে থাকলেন তিনি। বিশ্বরেকর্ড রয়েছে পাকিস্তানের ওয়াকার ইউনিসের দখলে। তিনি ২০০টেস্ট উইকেট নিয়েছিলেন ৭৭২৫তম বলে। দ্বিতীয় স্থানে আছেন ডেল স্টেন। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন বোলারের লেগেছিল ৭৮৪৮টি বল। তৃতীয় স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকারই কাগিসো রাবাডা। তাঁর ২০০ উইকেট নিতে লেগেছিল ৮১৫৩টি বল।
রবিবারের পর বুমরাহের টেস্ট উইকেট সংখ্যা হল ২০২টি। অ্যালেক্স ক্যারেকে আউট করে এ বারের বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিতে ২৯তম উইকেট নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কোনও একটি টেস্ট সিরিজ়ে ভারতের সফলতম জোরে বোলার হলেন তিনি। ভাঙলেন কপিলের রেকর্ড। ১৯৯১-৯২ মরসুমের টেস্ট সিরিজ়ে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ২৫টি উইকেট নিয়েছিলেন কপিল। মেলবোর্ন টেস্টের প্রথম ইনিংসে কপিলের সেই নজির স্পর্শ করেছিলেন বুমরাহ। রবিবার স্যাম কনস্টাসের উইকেট নিতেই নতুন রেকর্ড গড়েছেন।
এ ছাড়াও বুমরাহ তাঁর ৪৪তম টেস্টে ২০০ উইকেট পূর্ণ করলেন। রবীন্দ্র জাডেজাও ২০০ উইকেট নিয়েছিলেন তাঁর ৪৪তম টেস্ট ম্যাচে। এ ক্ষেত্রে ভারতীয়দের মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তিনি তাঁর ৩৮তম টেস্টে ২০০ উইকেট নেন।