কৃষ্ণ জন্মষ্টমী উপলক্ষে দইহান্ডি মাটকি ফোড় অনুষ্ঠানে আজ বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর শহরের নিজ বাংলোতে দিলীপ ঘোষ কর্মী- সমর্থকদের সঙ্গে অনুষ্ঠান পালন করেন। সেখানে তিনি ১লা বৈশাখ বিধান সভায় বাংলা দিবস প্রস্তাব পাস সহ বিভিন্ন বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লিতে ধর্না দেওয়া প্রসঙ্গে কটাক্ষ করেছেন মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সারা জীবন ধর্ণা দিয়েছেন আর মিছিল করেছেন, কাজের কাজ কিছু করেননি। তিনি আরো দাবি করেন, গত ১২ বছরে রাজ্যে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
এদিন দিলীপ ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, এই ধর্না দিলে বাংলার মানুষের কি লাভ হবে? ১২ বছরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য প্রশাসনকে শেষ করেছে। এখন ধর্না দেবো বলছেন, লোক শুনে হাসছে। বছরের পর বছর যারা চাকরি না পেয়ে বসে আছে তারা ধর্না দিচ্ছে। ডিএ দিতে পারছে না। বিশ্ব বিদ্যালয়গুলিতে মাফিয়া রাজ চলছে, শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ একবারে শেষ করে দিয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা মারা যাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি টাকা রোজগারের জায়গা হয়েছে। নেতারা করে খাচ্ছে। কোনো সুরক্ষা নেই। পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক- শিক্ষিকা কারো কোনো সুরক্ষা নেই।
১লা বৈশাখ বাংলা দিবস করতে চান মুখ্যমন্ত্রী। ১৬৭/৬২ ভোটে তা পাসও করিয়েছেন ঠিকই তবে তিনি তো অনেক প্রস্তাব পাস করিয়েছেন, কাজের কাজ কিছুই করতে পারেননি। কেজরিওয়ালও অধিবেশন ডেকে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন, কিন্তু লাভের লাভ কি হয়। এই অসুখ বাংলার সর্বনাশ করছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নেতাজিকে দালাল বলেছিলেন ইতিহাস শিখতে হবে বিজেপিকে। মমতার এই আক্রমণ প্রসঙ্গে দিলীপ। ঘোষ বলেন, আগে মমতার ইতিহাস জানুন। কদিন পরে উনি ইতিহাসে চলে যাবেন।
রাজ্যপাল দুর্নীতিগ্রস্ত, শ্লীতাহানিকারীদের উপাচার্য করছেন অভিযোগ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন আমি প্রতিজ্ঞা করছি আমি এর শেষ দেখে ছাড়বো। সাংবাদিকদের তোলা এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, এতদিন কেন করেননি? এরকম অযোগ্য মুখ্যমন্ত্রী সারাদেশে নেই। কেন তিনি ভাইস চ্যান্সেলর করেননি? কেন ইউনির্ভাসিটিগুলিতে লোক নেই? শুধু স্ট্যান্ট বাজি। এপর্যন্ত বারোটা বিল পাস করিয়েছে ইউনিভার্সিটি গুলির জন্য। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করেনি। রাজ্যপাল সেসব করার চেষ্টা করছেন।