রীতিমতো আটঘাট বেঁধেই পলিগ্রাফ পরীক্ষায় বসেছিলেন শ্রদ্ধা ওয়ালকর খুনে অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালা! কী ভাবে তদন্তকারীদের প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যাবেন, সম্ভবত তারও মহড়া দিয়েছিলেন। জানালেন এক তদন্তকারী আধিকারিক।
গত বৃহস্পতি এবং শুক্রবার রোহিণীর ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (এফএসএল)-তে পলিগ্রাফ পরীক্ষা হয়েছে আফতাবের। তার পরেও তদন্তকারীদের ধন্দ কাটেনি। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কিছু প্রশ্নের জবাবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মিথ্যা বলে গিয়েছেন আফতাব। একটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, পলিগ্রাফ পরীক্ষায় তদন্তকারীরা জিজ্ঞেস করেছিলেন, আফতাব কি ‘দৃশ্যম’ ছবিটি দেখেছেন! জবাবে শুধুই হেসেছিলেন আফতাব। জানা গিয়েছে, তদন্তকারীরা এ বার আফতাবের নার্কো-অ্যানালিসিস পরীক্ষা করাতে চাইছেন।
এফএসএল-এর ডিরেক্টর সঞ্জীব গুপ্ত বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার আফতাব বলেছিলেন তাঁর জ্বর হয়েছে। তাই পরীক্ষার প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। আরও এক দিন তাঁকে তলব করা হবে।’’ পলিগ্রাফ পরীক্ষার সময় উপস্থিত এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আফতাবের শরীরে ইলেকট্রোড বসানোর পরেই তিনি কাশতে শুরু করেন। ফলে ঠিক ভাবে পরিসংখ্যান নেওয়া যায়নি। পলিগ্রাফের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘আফতাবের কাশির কারণে ঠিকমতো রিডিং ওঠেনি। ফলে আমরা বুঝতে পারিনি যে, তিনি সত্যি বলছেন, না কি তদন্তকারীদের ভুলপথে চালনার চেষ্টা করছেন।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রোহিণীর ড. বাবা সাহেব অম্বেডকর হাসপাতালে আফতাবের নার্কো অ্যানালিসিস পরীক্ষা হবে।
পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, গত ১৮ মে বিবাদের সময় ছতরপুরের ফ্ল্যাটে গলা টিপে শ্রদ্ধাকে খুন করেন আফতাব। এর পর শৌচালয়ে বসে তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করেন বলে অভিযোগ। ১৮ দিন ধরে দেহের টুকরো ছড়িয়ে দেন দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে। দেহের টুকরো ভরে রাখার জন্য ৩০০ লিটারের একটি ফ্রিজও কেনেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, গোটা ঘটনার উপর তাঁর নজর রয়েছে। দোষীদের কম সময়ের মধ্যে কড়া শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।