রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তির ঠিক উপরে জুতোর বিজ্ঞাপন, বিতর্ক দুর্গাপুরে

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তির ঠিক উপরে জুতোর বিজ্ঞাপন। বিশ্বকবির প্রয়াণ দিবসে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার বাসস্ট্যান্ডে এমনই দৃশ্য ধরা পড়ল। তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। প্রবল বিতর্কের মুখে খুলে দেওয়া হয় বিজ্ঞাপন। দুর্গাপুর পুরনিগমের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে ।

রবিবার বিশ্বকবির প্রয়াণ দিবসে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের কাছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তির সামনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকালে বিশ্বকবির মূর্তিতে মাল্যদান করতে গিয়ে বিজ্ঞাপনটি নজরে আসে স্থানীয় বাসিন্দাদের। মূর্তির একেবারে উপরে জুতোর বড়সড় বিজ্ঞাপন ছিল। তা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, শুধু জুতোর বিজ্ঞাপন নয়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তির সামনেই একটি রেস্তোরাঁ গজিয়ে উঠেছে। মূর্তির সামনেই নষ্ট হয়ে যাওয়া খাবার ফেলা হয়। বৃষ্টির সময় মূর্তির সামনে আচ্ছাদন দিয়ে ঘিরে দেন দোকানের মালিক। তা নিয়ে একাধিকবার প্রতিবাদ জানানো হলেও কোনও ফল মেলেনি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ‘দুর্গাপুর নাগরিক মঞ্চ’-এর এক সদস্য বলেন, ‘এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ধিক্কার জানাচ্ছি। মূর্তির সামনে একটি বাগান তৈরি করা হোক।’

রবিবারের ঘটনায় বিতর্ক বাড়তে থাকায় জুতোর বিজ্ঞাপন ঢেকে দেয় এজেন্সি। পরে তা খুলে দেওয়া হয়। নাম গোপন রাখার শর্তে দুর্গাপুর পুরনিগমের এক পদাধিকারী জানিয়েছেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। বিজ্ঞাপনের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে। তা নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ঘটনার নিন্দা করেছেন আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.