নিজের প্রথম বিশ্বকাপেই রুপো আদ্রিয়ানের, জয়দীপ-পুত্রের হাত ধরে প্রথম পদক এল ভারতে

নিজের প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে নেমেছেন আদ্রিয়ান কর্মকার। প্রথম দিনই নজর কাড়লেন তিনি। রুপো জিতলেন আদ্রিয়ান। বাঙালি অলিম্পিয়ান জয়দীপ কর্মকারের পুত্রের হাত ধরে প্রথম পদক এল ভারতে। শুধু পদক জেতা নয়, জুনিয়র জাতীয় রেকর্ডও গড়েছেন আদ্রিয়ান।

মঙ্গলবার জার্মানিতে জুনিয়র শুটিং বিশ্বকাপে ৫০ মিটার রাইফেল প্রোন ইভেন্টে নেমেছিলেন আদ্রিয়ান। ৬০টি শটের পরে তিনি স্কোর করেন ৬২৬.৭ পয়েন্ট। মাত্র ০.৩ পয়েন্টের জন্য সোনা হাতছাড়া হয় তাঁর। সোনা জেতেন সুইডেনের জেসপার জোহানসন। তিনি স্কোর করেন ৬২৭ পয়েন্ট। ৬২৪.৬ পয়েন্ট স্কোর করে ব্রোঞ্জ জেতেন আমেরিকার গ্রিফিন লেক।

শুরু থেকে ভালই পয়েন্ট স্কোর করছিলেন আদ্রিয়ান। গড়ে ১০.৫ পয়েন্ট স্কোর করছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ শটটি একটু খারাপ হয়। সেই শটে ১০.০ পয়েন্ট স্কোর করেন তিনি। একটি শটেই সোনা হাতছাড়া হয় তাঁর। যদি শেষ শটে আদ্রিয়ান ১০.৪ পয়েন্ট স্কোর করতে পারতেন তা হলে সোনা জিততেন তিনি। সোনা জেতার আরও একটি সুযোগ পাবেন আদ্রিয়ান। বৃহস্পতিবার ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনসে নামবেন তিনি। সেটাই আদ্রিয়ানের পছন্দের ইভেন্ট। শুরুতে পদক জিতে যাওয়ায় আত্মবিশ্বাসও বেশি থাকবে তাঁর।

এটিই আদ্রিয়ানের প্রথম বিশ্বকাপ। এর আগে তিনি ভারতের হয়ে জুনিয়র বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ খেলেছেন। কিন্তু সেখানে কোনও পদক পাননি। যদিও জুনিয়র এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো ও ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি প্রতিযোগিতায় দলগত সোনা জিতেছেন জয়দীপের পুত্র।

shooting

পিতা জয়দীপ ভারতীয় শুটিংয়ে পরিচিত নাম। বাঙালি শুটার অলিম্পিক্সে খেলেছেন। পরে কোচিং ও প্রশাসনেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। পুত্রের সাফল্যে স্বভাবতই খুশি তিনি। আনন্দবাজার ডট কম-কে জয়দীপ বললেন, “ছেলে প্রথম বিশ্বকাপে গিয়ে পদক পেয়েছে বলে বাবা হিসাবে গর্ব হচ্ছে। প্রথম বিশ্বকাপে পদক পাওয়া সহজ নয়। বিশেষ করে এই ইভেন্টে পদক জেতা কঠিন। জুনিয়র বিশ্বকাপে ভারত ভাল করলেও এই ইভেন্টে ভারতের রেকর্ড ভাল নয়।” পুরনো দিনের কথাও মনে পড়ছে জয়দীপের। তিনি বললেন, “১৫ বছর আগে সিডনিতে সিনিয়র বিশ্বকাপে প্রথম ভারতীয় হিসাবে রুপো পেয়েছিলাম। সেটা ছিল জাতীয় ও এশীয় রেকর্ড। ১৫ বছর পরে সেই ইভেন্টেই আমার ছেলে পদক জিতল। তবে ওকে বলব, বাবাকে তো টপকাতে পারলি না। সোনা তো পেলি না। তা হলে খিদেটা থাকবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.