ফের ঐতিহাসিক পদক্ষেপ ইসরোর। চাঁদে সফল অবতরণের পর এবার টার্গেট সূর্য। গন্তব্যস্থল পৃথিবী থেকে ১৫ লাখ কিলোমিটার দূরে মহাকাশের একটি নির্দিষ্ট এলাকা। শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ হ্যালো অরবিটের নির্দিষ্ট বিন্দুতে পৌঁছবে আদিত্য এল ১ (Aditya L1)। এদিন অন্তিমবারের মতো ম্যানুভার করবে ISRO-র এই ‘সৌরযান’। এই প্রথম সূর্যের এতটা কাছে পৌঁছাতে পারল ভারত।
সৌর গবেষণার জন্য ৪ মাস আগেই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে সূর্যের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল ভারতের প্রথম সৌরযান আদিত্য এল ১। ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১৫০০ কেজি ওজনের এই স্যাটেলাইটটি পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে সূর্যের অন্তিম কক্ষপথে প্রবেশ করতে চলেছে। ISRO-র বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিল, শনিবার অর্থাৎ ৬ জানুয়ারি মোট ৬৩ মিনিট ২০ সেকেন্ডের একটি ফ্লাইট সম্পন্ন করবে আদিত্য। তারপর সে তার নির্দিষ্ট পয়েন্টে প্রবেশ করবে।
এখান থেকেই আদিত্য ৫ বছর ধরে সূর্যকে অধ্যয়ন করবে এবং একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করবে। তবে এই কাজ সহজ ছিল না। আদিত্য-এল১-কে ধাক্কা দিয়ে নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছে দেওয়াই ছিল ইসরোর সামনে চ্যালেঞ্জ। কারণ অত্যন্ত সাবধানে ওই কাজ করতে হয়েছে। গোটা প্রক্রিয়ায় সামান্য ভুল হলেই এত দিনের পরিশ্রম বৃথা। যে চাপ দিয়ে সৌরযানটিকে এল১ পয়েন্টে পাঠানো হস, তা কমবেশি হলে বিপদ ঘটতে পারত।
নাসা আর ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ইএসএ বা ‘এসা’) পর ভারতই প্রথম পাড়ি দিল সৌর-মুলুকে। এই অভিযান সফল হলে, মহাকাশবিজ্ঞানের ইতিহাসে পাকাপাকি ভাবে সেরার শিরোপাটা ছিনিয়ে নেবে ভারত। আদিত্য-L1-এ সাতটি অত্যাধুনিক পেলোড রয়েছে। আদিত্য-এল 1 ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক এবং পার্টিকেল ডিটেক্টরের মাধ্যমে সূর্যের বাইরের স্তরগুলির পর্যবেক্ষণ করবে। রয়েছে ভিজিবল এমিশন লাইন করোনাগ্রাফ (VELC), সোলার লো এনার্জি এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার (SoLEXS), আদিত্যের প্লাজমা অ্যানালাইসিস প্যাকেজ (PAPA), হাই এনার্জি L1 অরবিটিং এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার (HEL1OS), সোলার আল্ট্রাভায়োলেট ইমেজিং টেলিস্কোপ (SUIT), আদিত্য সোলার উইন্ড পার্টিকেল এক্সপেরিমেন্ট (ASPEX), এবং অনবোর্ড ম্যাগনেটোমিটার (MAG)।