নির্বাচনী সংস্কার সংক্রান্ত আলোচনার জন্য আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর সঙ্গে শলা-পরামর্শ করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটার আইডি কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্ত করা ও নিস্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলির বৈধতা কেড়ে নেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই সংক্রান্ত প্রস্তাব আইনমন্ত্রকের কাছে বর্তমানে জমা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের আশা যে শীতকালীন অধিবেশনে এগুলি সংসদে পেশ করা হবে।
বহু রাজনৈতিক দল আছে যারা ভোটে লড়ে না কিন্তু এখনও করছাড় ভোগ করে সমস্ত চাঁদার ওপর। বর্তমানে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনও আইন নেই। সেই সংক্রান্ত আইন চায় নির্বাচন কমিশন। ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধারের সংযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব সরকার মেনে নিয়েছে। তবে অন্য প্রস্তাবটি নিয়ে এখনও আলোচনা বাকি আছে। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
বর্তমানে প্রায় ২৩০০ রাজনৈতিক দল আছে খাতায় কলমে। এদের অনেকেই ভোটে দাঁড়ায় না। তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতে চায় ইসি। মোটের ওপর পাঁচটি বড় নির্বাচনী সংস্কার করতে চায় তারা। সেগুলি হল পেইড নিউজের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা, আধার সংযুক্তিকরণ, মিথ্যে হলফনামা দিলে দুই বছরের জেল প্রভৃতি। এছাড়াও ভোটার লিস্টে ডুপ্লিকেট নাম সরানো ও পরিযায়ী শ্রমিক ও অনাবাসী ভারতীয়রা যাতে নিজেদের স্থান থেকেই ভোট দিতে পারে সেই সংক্রান্ত সংস্কারও আনতে চাইছে নির্বাচন কমিশন।
আধার সংযুক্তিকরণ হলে একাধিক স্থানে একটি ব্যক্তির ভোট দেওয়ার বিষয়টি বন্ধ করা যাবে বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন। একবার সরকারের সম্মতি মিলবে তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে বলে মনে করা হচ্ছে।