1/6ঋণ প্রদানকারী অ্যাপগুলির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই ধরনের ঋণ প্রদানকারী অ্যাপগুলির অধিকাংশই চিনা নিয়ন্ত্রিত বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। পাশাপাশি কেন্দ্রের বক্তব্য, ‘এই অ্যাপগুলির হেনস্থা, প্রতারণা এবং ঋণ আদায়ের জন্য নিষ্ঠুর আচরণের কারণে অনেক নাগরিক আত্মহত্যা করছেন।’ এই অ্যাপগুলিকে দেশের নিরাপত্তা, অর্থনীতি এবং নাগরিকদের জন্য ‘বিপজ্জনক’ বলে অভিহিত করেছে।
2/6সব রাজ্যগুলিকে পাঠানো চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ‘এই বেআইনি অ্যাপগুলিকে আরবিআই নিয়ন্ত্রণ করছে না। এগুলি এসএমএস, ডিজিটাল বিজ্ঞাপন, চ্যাট মেসেঞ্জারের বার্তার মাধ্যমে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করছে এবং ফাঁদে ফেলছে।’
3/6কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, এই অ্যাপগুলিকে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শীঘ্রই সম্পন্ন করা হবে। কেন্দ্রের চিঠিতে স্পষ্ট ভাষায় লেখা, ‘এই সমস্যা জাতীয় নিরাপত্তা, অর্থনীতি এবং নাগরিক নিরাপত্তার উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।’ কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, এই বেআইনি ঋষ প্রদানকারী অ্যাপগুলির বিরুদ্ধে সম্প্রতি বিপুল সংখ্যক অভিযোগ জমা পড়েছে। স্বল্প মেয়াদী ঋণ দিয়ে এই অ্যাপগুলি চড়া হারে সুদ আদায় করে। অনেক ক্ষেত্রেই লুকোনো চার্জ থাকে।
4/6এদিকে গ্রাহকের গোপন তথ্য হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা এবং হেনস্থা করা হয়। ঋণ আদায় করতে গ্রাহকের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়। এই অ্যাপগুলির কারণে দেশজুড়ে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। কোভিডের সময় থেকে এই অ্যাপগুলি ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে। মানুষের অভাবের ফয়দা তুলে ঋণের ফাঁদে ফেলছে এই অ্যাপগুলি।
5/6স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছে, তদন্তের পরে জানা গিয়েছে যে এটি একটি সংগঠিত সাইবার অপরাধ। ইমেল, ভার্চুয়াল নম্বর, ভুয়ো অ্যাকাউন্ট, শেল কোম্পানি, পেমেন্ট অ্যাগ্রিগেটর, API পরিষেবা (অ্যাকাউন্ট যাচাইকরণ, নথি যাচাইকরণ), ক্লাউড হোস্টিং, ক্রিপ্টোকারেন্সি ইত্যাদি ব্যবহার করে এই অপরাধ ঘটানো হচ্ছে।
6/6এই আবহে এই অ্যাপগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিতেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকে। কেন্দ্র বলেছে, ‘সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এই বিষয়ে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এছাড়া, এই ধরনের অ্যাপগুলি ব্যবহারের ঝুঁকির সম্পর্কে সমস্ত জেলায় গণসচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রশাসনকে।’