Acid Attack: ‘অ্যাসিড দিয়ে মামীকে পুড়িয়ে মেরে দে, কোনও প্রমাণ থাকবে না’

 ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় ও সেইসঙ্গে এই ঘটনার কথা সকলকে জানানোয় মামির গায়ে অ্যাসিড ঢেলে দিল ভাগ্নে। ঘটনাটি ঘটেছে কেতুগ্রামের ঝামুটপুর গ্রামে। ঘটনায় দিদি ও ভাগ্নেকে গ্রেফতার করেছে কেতুগ্রাম থানার পুলিস। আ্যসিড আক্রান্ত হয়ে জখম অবস্থায় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মামি। 

গত শনিবার কাটোয়া মহকুমার কেতুগ্রাম থানার অন্তর্গত ঝামুটপুর গ্রামের বাসিন্দা গনেশ দাস মেয়েকে আনতে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন। সেই সময় বাড়িতে তাঁর স্ত্রী একা ছিলেন। ওই দিন তাঁর একা থাকার সুযোগ নিয়ে গণেশের ভাগ্নে গোপাল দাস তাঁর মামার বাড়িতে আসে। মামার বাড়িতে এসে মামিকে জড়িয়ে ধরে এবং কুপ্রস্তাব দেয়। মামী ভাগ্নে গোপাল দাসের কুপ্রস্তাবে রাজি না হয়ে তাঁকে অপমান করে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। এরপর ভাগ্নে মামার বাড়ি থেকে চলে যায়। রাতে গণেশ দাস মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরলে স্ত্রী তাঁকে সমস্ত ঘটনা জানান। 

এরপর রবিবার গনেশ দাস তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে দিদি চন্দনা দাসের বাড়ি গিয়ে ভাগ্নের কুমর্মের অভিযোগ জানাতে গেলে ঘুরিয়ে তাঁর দিদি চন্দনা দাস ও জামাইবাবু জগন্নাথ দাস ভাই গণেশ দাসেরর উপরই চড়াও হয়। গণেশ দাসের স্ত্রীকে উদ্দেশ করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, বচসা বাড়তে থাকলে চন্দনা দাস-ই ছেলেকে বলে, ‘অ্যাসিড দিয়ে মামীকে পুড়িয়ে মেরে দে। কোনও প্রমাণ আর থাকবে না।’ এরপরই চন্দনা দাসের ছেলে গোপাল দাস ঘরের ভিতর থেকে অ্যাসিড নিয়ে এসে মামীর গায়ে অ্যাসিড ছুঁড়ে মারে। এমনটাই অভিযোগ নির্যাতিতার। 

এরপরই গণেশ দাস আক্রান্ত স্ত্রীকে নিয়ে কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ জানাতে যায়। কেতুগ্রাম থানার পুলিস অভিযোগ গ্রহণ করে এবং আক্রান্ত ওই গৃহবধূকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। বর্তমানে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে মহিলা বিভাগের বার্ন ওয়ার্ডের চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন তিনি। অন্যদিকে কেতুগ্রাম থানার পুলিস মূল অভিযুক্ত অর্থাৎ গোপাল দাস ও তার মা চন্দনা দাসকে গ্রেফতার করেছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.