রাজ্যে একের পর এক গণপিটুনির ঘটনার মাঝে এ বার ঘটনাস্থল পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক। দুই মহিলা এবং এক শিশুকে পিছমোড়া করে বেঁধে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের একাংশের বিরুদ্ধে। সোমবার তমলুক থানার নিশ্চিন্তবসান গ্রামের ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এক গৃহস্থের বাড়িতে ঢুকে গয়না চুরির অভিযোগ ঘিরে গন্ডগোলের সূত্রপাত। দীপালি বেরা নামে তমলুক-১ নম্বর ব্লকের ওই বাসিন্দার অভিযোগ, তাঁর বাড়িতে ঢুকে চুরির চেষ্টা করেন দুই অজ্ঞাতপরিচয় মহিলা। দীপালি বলেন, ‘‘সোমবার দুপুরে দুই মহিলা একটি বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়ির সামনে আসে। এক জন শিশুটিকে নিয়ে বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকলেও অন্য মহিলা বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ে। সোনার গয়না হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে সে।’’ ওই মহিলার চিৎকারে গ্রামবাসীরা ছুটে যান তাঁর বাড়িতে। সেই সময় অভিযুক্ত মহিলাকে ঘরের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। তল্লাশি চালিয়ে দীপালির গয়নার ব্যাগ উদ্ধার হয় বলে দাবি করেছেন গ্রামবাসীদের কয়েক জন। তার পরেই তিন জনকে পিছমোড়া করে বেঁধে বেধড়ক মারধর চলে।
ওই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় তমলুক থানার পুলিশ। তারা দুই মহিলা-সহ শিশুকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, অভিযুক্তেরা দলবেঁধে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেফিরে বেড়ান। ওই দলে আর কোনও সদস্য রয়েছেন কি না, সে সম্পর্কে পুলিশ খোঁজখবর চালাচ্ছে। যাঁর বাড়িতে ঢুকে চুরির অভিযোগ উঠেছে, সেই দীপালি বলেন, “দুপুরে বাড়ির দরজা খোলা পেয়ে এক জন মহিলা ভেতরে ঢুকে গিয়েছিল। আমি ভয় পেয়ে কাঁদতে শুরু করি। আমার চিৎকারে পড়শিরা ছুটে এসে ওই মহিলাকে দেখতে পান। চুরি করে বেরিয়ে আসার সময় হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় তাকে।’’ যদিও গণপিটুনির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।