জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়া জুনিয়র চিকিৎসক এবং তার পরিবারকে অতি তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধার করে প্রাণে বাঁচালো পুলিশ। বুধবার সন্ধেয় ঝাড়গ্রাম থানার অন্তর্গত ফাঁসিতলায় কলকাতা-মুম্বাই ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে নেতুরা টোল প্লাজার কাছে একটি ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা ঘটে। দুটি যাত্রীবাহী মারুতি গাড়িকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে একটি দূরপাল্লার পণ্যবাহী লরি। দুর্ঘটনার জেরে দুমড়ে-মুচড়ে যায় দুটো মারুতি গাড়ি। একটি গাড়িতে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসক সৃষ্টি একতা এবং তার বাবা সহ মোট চারজন ছিলেন। অপর একটি গাড়িতে আরো দু’জন ছিলেন।
দুর্ঘটনার খবর কানে পৌঁছতেই বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে ঝাড়গ্রামের এসডিপিও শামীম বিশ্বাস, ঝাড়গ্রাম থানার আইসি বিপ্লব কর্মকার, মানিকপাড়া বিড হাউসের ওসি সুজন হেমব্রম সহ ঝাড়গ্রাম থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। শুরু হয় উদ্ধার কাজ। নিয়ে আসা হয় গ্যাস কাটার, বিডি ভ্যান, অ্যাম্বুলেন্স। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া গাড়ি থেকে দ্রুত তাদের উদ্ধার করে পুলিশই নিয়ে আসে ঝাড়গ্রাম গর্ভমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। পুলিশের দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছানো এবং বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে তাদের উদ্ধার করায় প্রাণ বাঁচে সকলেরই।
ঝাড়গ্রাম গর্ভমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রনীল সরকার বলেন, “সৃষ্টি একতা নামের জুনিয়র ডাক্তার সহ মোট ৬ জনকে নিয়ে আসা হয়েছিল। বর্তমানে সৃষ্টি একতা নামে ওই জুনিয়র ডাক্তার সহ পাঁচজনকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং অনুপ বেরা নামের একজনকে কলকাতার এসএসকেএম স্থানান্তর করা হয়েছে।
ঝাড়গ্রামের এসডিপিও শামীম বিশ্বাস বলেন, “প্রতিদিন রাতের বেলায় বিভিন্ন এলাকার খোঁজখবর নেওয়ার জন্য টহল দেওয়া হয়। গতকাল সন্ধে সাতটা নাগাদ আমাদের কাছে খবর আছে ফাঁসিতলার কাছে একটি দুর্ঘটনা হয়েছে। দুটি মারুতি গাড়িকে পেছন থেকে একটি পণ্যবাহী লরি ধাক্কা মেরেছে। খবরটি পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে ছুটে যাওয়া হয়। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া গাড়িগুলিকে গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে ভেতরে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের কাজ মানুষের জীবন রক্ষা করা, আমরা তাদের সঠিক সময়ের হাসপাতালে নিয়ে যেতে পেরেছি”।