আজ, সোমবার ২০২৪-’২৫ আর্থিক বর্ষের প্রথম দিন থেকে বাড়ছে অত্যাবশক ওষুধের দাম। হোলসেল প্রাইস ইনডেক্সের বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে কেন্দ্রীয় রসায়ন ও সার মন্ত্রক ওষুধের দামে নতুন ঊর্ধ্বসীমা বসিয়েছে। তার ফলেই সামান্য হলেও মানুষের রোজকার প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম বাড়ছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
২০১৩ সালের ড্রাগ প্রাইস কন্ট্রোল অর্ডার মোতাবেক ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (এনপিপিএ) বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, স্টেরয়েড, অ্যান্টিবায়োটিক, পেনকিলার (ব্যাথা-যন্ত্রণার ওষুধ),ভিটামিন, রক্তচাপ-সুগার-কোলেস্টেরল এবং জ্বর-সর্দি-কাশির মত প্রায় ৮০০ ওষুধের দাম বৃদ্ধি হচ্ছে। তবে বিগত বছরের তুলনায় এবারের দাম বৃদ্ধি খুবই কম বলে মত বিশেষজ্ঞদের। কারণ, বিজ্ঞপ্তিতে এনপিপিএ জানিয়েছে, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীন উপদেষ্টামণ্ডলীর সুপারিশ মেনে, হোলসেল প্রাইস ইনডেক্সের তথ্য অনুযায়ী ৭২৬ রকমের ওষুধের ঊর্ধ্বসীমা স্থির করা হয়েছে। যা পুরনো দামের থেকে ০.০০৫৫১% বেশি। সেখানে ২০২২-’২৩ অর্থিক বর্ষে ১০% এবং ২০২৩-’২৪ অর্থিক বর্ষে ১২% হারে দাম বৃদ্ধিতে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল।
এবারে একেবারে নগন্য হারে দাম বৃদ্ধির ফলে আমজনতার পকেটে তেমন চাপ পরবে না বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য কর্তারা দাবি করলেও, সংশয়ে পরেছেন নিত্য অত্যাবশকীয় ওষুধ ব্যবহারকারীরা। কারণ, বহু দরিদ্র মানুষকে প্রতিদিন রক্তচাপ বা সুগারের ওষুধ খেতে হয়। তাঁদের কাছে সামান্য বৃদ্ধিই অনেক বড় চিন্তার বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশও। তবে কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবিটিসের ৬৯টি ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যেই নতুন করে ঊর্ধ্বসীমা স্থির করা হয়েছে।